প্রতিবেশী হলো রক্তের সম্পর্কহীন কাছের মানুষ। সুখ-দুঃখে তারা পাশে থাকলে জীবন সহজ হয়ে ওঠে। ভালো প্রতিবেশী প্রত্যহ জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ। সমাজে পারস্পরিক সহমর্মিতা পরিবেশকে শান্তিময় করে তুলতে পারে। সে জন্য প্রতিবেশীর সঙ্গে সৌহার্দ্য প্রদর্শনের কথা বলে ইসলাম।
প্রতিবেশীর হক ও অধিকারকে পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজনের অধিকারের পাশেই স্থান দিয়েছে কোরআন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো। কোনো কিছুকে তাঁর সঙ্গে শরিক কোরো না এবং পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকট-প্রতিবেশী, দূরপ্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথি, মুসাফির ও তোমাদের দাস-দাসীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো। নিশ্চয় আল্লাহ দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। (সুরা নিসা: ৩৬)
নবী করিম (সা.) বলেন, যে আল্লাহর প্রতি ইমান রাখে এবং আখেরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন নিজ প্রতিবেশীকে সম্মান করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০১৮)
প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেওয়ার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ওই ব্যক্তি মুমিন নয়, যে পেট পুরে খায় অথচ তার পাশের প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে। (আদাবুল মুফরাদ: ১১২)
প্রতিবেশীর সঙ্গে অনেক সময় নানা কারণে সম্পর্ক খারাপ হয়। তখন হাদিয়া-উপহারের মাধ্যমে সম্পর্ক ভালো করা যেতে পারে। হাদিয়া নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী হতে পারে। সামান্য থেকে সামান্য জিনিস হতে পারে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন প্রতিবেশীকে হাদিয়া দিতে সংকোচবোধ না করে। যদিও তা বকরির খুরের মতো নগণ্য বস্তুও হয়। (সহিহ্ বুখারি: ৬০১৭)
অন্য এক হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) আবু জর গিফারি (রা.)-কে বললেন, হে আবু জর, তুমি ঝোল (তরকারি) রান্না করলে তার ঝোল বাড়িয়ে দিয়ো এবং তোমার প্রতিবেশীকে তাতে শরিক করো। (সহিহ্ মুসলিম: ২৬২৫)
আল্লাহ তাআলা প্রতিবেশীর সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলার তাওফিক দান করুন।