ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
রোজা ভঙ্গের যেসব কারণ রয়েছে এর মধ্যে একটি হলো মুখভরে বমি করা। কোনো রোজাদার যদি অসুস্থতার কারণে অনিচ্ছায় বমি করে তবে তিনি রোজা না ভেঙে অবশিষ্ট রোজা পূর্ণ করবেন। তবে শর্ত হলো, বমি যেন মুখভরে না হয়। এমতাবস্থায় তাঁকে উক্ত রোজার কাজা করতে হবে না। তবে রোজাদার গলায় বা মুখে আঙুল ঢুকিয়ে অথবা কোনো দুর্গন্ধ শুকিয়ে অথবা বিরক্তিকর কোনো জিনিস দেখে অথবা ইচ্ছাকৃত বমি করে, তবে তাকে উক্ত রোজার কাজা করতে হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজা অবস্থায় যার বমি হলো, তার ওপর কাজা জরুরি নয়। হ্যাঁ, যদি সে স্বেচ্ছায় বমি করে তাহলে সে যেন কাজা করে।’ (আবু দাউদ)
এখন প্রশ্ন হলো, মুখভরে অথবা ইচ্ছাকৃত বমি করার পর রোজাদার তার রোজা ভঙ্গ করবে, নাকি অবশিষ্ট রোজা পূর্ণ করবে? ইসলামি আইনবিদেরা বলেন, বমির কারণে কেউ দুর্বল হয়ে পড়লে তিনি রোজা ভঙ্গ করতে পারবেন। এরপর পরের রমজান আসার আগেই ওই রোজার কাজা আদায় করবেন। কারণ, ইসলাম জীবনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। মহানবী (সা.)-এর দাস সাওবান (রা.) বলেন, ‘আমি মহানবী (সা.)-কে বমি করার পর রোজা ভাঙতে দেখেছি এবং আমি তার ওপর পানি ঢেলেছি।’ (আবু দাউদ)
মহানবী (সা.)-এর রোজা ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ হলো, তিনি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি স্বয়ং বলেন, ‘কিন্তু আমি বমি করেছি, ফলে, রোজা পালনে দুর্বল হয়ে গেছি। তাই আমি রোজা ভঙ্গ করেছি।’ (তাহাবি)
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়