Ajker Patrika
হোম > ইসলাম

আশুরার রোজার ফজিলত ও বিধান

মুফতি ইশমাম আহমেদ

আশুরার রোজার ফজিলত ও বিধান

রমজানের পর বছরের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মাস মহররম। এই মাসের ১০ তারিখে পালিত হয় আশুরা। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার কারণে ইসলামে দিনটির মর্যাদার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) রোজা রেখে এই দিনটি উদ্‌যাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।

আশুরার রোজার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) হিজরত করে মদিনায় পৌঁছালে ইহুদিদের আশুরার দিনে রোজা পালন করতে দেখেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের জিজ্ঞেস করেন, ‘এই দিনে কী ঘটেছে যে তোমরা এতে রোজা পালন করো?’ তারা বলে, ‘এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন, এই দিনে আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও তাঁর সঙ্গীদের ফিরাউন থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং ফিরাউন ও তাঁর বাহিনীকে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মুসা রোজা রাখতেন, তাই আমরাও আশুরার রোজা পালন করে থাকি।’ জবাব শুনে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুসা (আ.)-এর কৃতজ্ঞতার অনুসরণে আমরা তাদের চেয়ে বেশি যত্নশীল হওয়ার অধিকারী।’ এরপর তিনি নিজেও আশুরার রোজা রাখেন এবং মুসলমানদের তা পালন করতে নির্দেশ প্রদান করেন।’ (বুখারি: ৩৩৯৭; মুসলিম: ১১৩৯)

আশুরার রোজার অসংখ্য ফজিলতের কথাও হাদিসে এসেছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘এই রোজা বিগত বছরের গুনাহসমূহ মুছে দেয়।’ 
(মুসলিম: ১১৬২)

তবে এই রোজা পালনে যেন বিধর্মীদের সঙ্গে সাদৃশ্য না হয়, সে জন্য আশুরার আগে-পরে একটি রোজা যোগ করে নিতে বলা হয়েছে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরও একটি রোজা রেখে নিয়ো।’ (আহমদ: ২১৫৪)

মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

কন্যাসন্তান সৌভাগ্যের প্রতীক

প্রতিবন্ধীদের তাচ্ছিল্য করা যাবে না

ইসলামে জ্ঞানার্জন ও বই পড়ার তাগিদ

আল্লাহর অতি প্রিয় ১২ আমল

ইসলামে মাতৃভাষার অনন্য মর্যাদা

বাগদাদের ঐতিহাসিক বইয়ের বাজার

শুদ্ধ ও মার্জিত ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব

নামাজে পকেট থেকে ফোন বের করা যাবে কি

ডায়মন্ডের গয়নার জাকাত দিতে হবে কি

নবীজির ব্যাপারে উম্মতের ৪ দায়িত্ব