ইসলাম ডেস্ক
মহানবী (সা.) জীবনে অনেক স্থানে ভ্রমণ করেছেন। শৈশবেই তিনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া সফর করেন। হিজরতের সময় দুর্গম পথে মদিনায় সফর করেন। এ ছাড়া হজ, ওমরাহ ও বিভিন্ন যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে তিনি আরবের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণের বিভিন্ন আদব-শিষ্টাচার ও সুন্নতের কথা হাদিসের কিতাবগুলোতে বর্ণিত হয়েছে। ভ্রমণকালে নিরাপত্তা কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত।
ভ্রমণ একটি কঠিন কাজ। তাতে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে। তাই মহানবী (সা.) ভ্রমণের নিরাপত্তার জন্য দোয়া পড়তেন। বাহনে চড়ার পর তিনি যে দোয়াটি পড়তেন, তাহলো—‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সুবহানাল্লাজি সাখখারালানা হা-যা ওয়া-মা-কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুন কালিবুন।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও অশেষ করুণাময়। তিনি পূত-পবিত্র ওই সত্তা, যিনি বাহনকে আমার অধীন করে দিয়েছেন। আমাদের কাছে তাকে আয়ত্তে আনার ক্ষমতা ছিল না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।’
নৌপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সুরা হুদের ৪১ নম্বর আয়াতটি পড়া সুন্নত। তা হলো ‘বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়া মুরসা-হা, ইন্না রাব্বি লা গাফুরুর রহিম।’ অর্থ: ‘তোমরা এতে আরোহন করো। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। আমার পালনকর্তা অতি ক্ষমাপরায়ণ, মেহেরবান।’ (সুরা হুদ: ৪১)
ভ্রমণকালে পড়ার জন্য একটি বিশেষ দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘এ দোয়াটি পড়লে, ঘরে ফেরা পর্যন্ত কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না। দোয়াটি হলো—‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক।’ (মুসলিম) অর্থ: ‘আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমার মাধ্যমে সব ধরনের অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা চাচ্ছি।’