সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ের তারতম্যের কারণে দেশ ও অঞ্চলভেদে সাহরি ও ইফতারের সময়ে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। কোনো কোনো অঞ্চলে সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টা পর্যন্ত রোজা রাখতে হয়। আবার কোথাও রোজার সময় ১২ ঘণ্টা।
উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে সূর্যোদয় দেরিতে হওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখতে হয় মুসলিমদের। অন্যদিকে নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অবস্থিত অঞ্চলে রোজার সময় অপেক্ষাকৃত কম হয়।
ইসলামিক ফাইন্ডারের বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে দীর্ঘ সময় রোজা রাখতে হচ্ছে এমন শহরের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, এবার ১৭ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে গ্রিনল্যান্ডের নুক, আইসল্যান্ডের রিকজাভিক, ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি, সুইডেনের স্টকহোম ও স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে।
১৬ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম, পোল্যান্ডের ওয়ারশ, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, কাজাখস্তানের আস্তানা ও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের মুসলিমদের।
আর ১৪ ঘণ্টা রোজা থাকতে হবে পর্তুগালের লিসবন, গ্রিসের এথেন্স, চীনের বেইজিং, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ং, তুরস্কের আঙ্কারা, মরক্কোর রাবাত, জাপানের টোকিও, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, আফগানিস্তানের কাবুল, ইরানের তেহরান, ইরাকের বাগদাদ, লেবাননের বৈরুত, সিরিয়ার দামেস্ক, মিসরের কায়রো, জেরুজালেম, কুয়েতের কুয়েত সিটি, ফিলিস্তিনের গাজা, ভারতের নয়াদিল্লি, হংকং, বাংলাদেশের ঢাকা, ওমানের মাসকাট, সৌদি আরবের রিয়াদ, কাতারের দোহা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ইয়েমেনের এডেন শহরের বাসিন্দাদের।
সবচেয়ে কম সময় অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেস, প্যারাগুয়ের সিউদাদ দেল এস্তে, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন, উরুগুয়ের মন্টেভিডিও, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা, চিলির পুয়ের্তো মন্ট, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে।