হোম > ইসলাম

হজ যাঁদের জন্য ফরজ

ইসলাম ডেস্ক 

ছবি: সংগৃহীত

হজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। তবে এর সঙ্গে আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্যের বিষয় জড়িত। তাই সবার জন্য হজ ফরজ নয়। হজ ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। যথা—

এক. মুসলমান হওয়া। অমুসলিমদের জন্য হজ ফরজ নয়।

দুই. মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া। পাগল ও মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য হজ ফরজ নয়।

তিন. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য হজ ফরজ নয়।

চার. স্বাধীন হওয়া। ক্রীতদাস বা দাসীর জন্য হজ ফরজ নয়। তবে বর্তমানে দাস-দাসী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ায় এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।

পাঁচ. সামর্থ্য থাকা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭) আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরকারগণ বলেন, সামর্থ্য থাকার অর্থ হলো, আর্থিকভাবে এত সম্পদের মালিক হওয়া, যা দিয়ে হজের খরচ এবং ওই সময়ে পরিবারের খরচ বহনে সামর্থ্যবান হবে।

আর্থিক সামর্থ্য সম্পর্কে ফকিহগণ বলেন, নিজের দেশ বা ভূমি থেকে মক্কায় গিয়ে আবার ফিরে আসা পর্যন্ত সামর্থ্য থাকলে হজ ফরজ হয়। কেউ যদি সম্পদ অথবা স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে হজে যান; আবার হজ থেকে ফিরে এসে বাকি সম্পত্তি দিয়ে জীবন নির্বাহ করতে পারেন, তাহলে তাঁর ওপর হজ ফরজ হয়। (ইমদাদুল আহকাম: ২ / ১৫২; আহসানুল ফাতাওয়া: ৪ / ৫১৬)

উল্লেখ্য, সামর্থ্যের সঙ্গে শারীরিক সুস্থতাও জরুরি। তবে কারও সুস্থতার সময়ে হজের আর্থিক সামর্থ্য থাকলে ওই সময় হজ করুক বা না করুক—হজ ফরজ হয়ে যায়। অসুস্থতার কারণে তা আদায় করতে না পারলে পরে বদলি হজ করতে হয়।

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

নামাজে সতর ঢাকা সম্পর্কে সতর্কতা

সীমান্ত পাহারা দেওয়া শ্রেষ্ঠতম ইবাদত

কবরে যে ২ গুনাহের শাস্তি দেওয়া হবে

মুমিনের চমৎকার ৪ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

মেহমানকে সম্মানিত করার গুরুত্ব ও সওয়াব

সেকশন