হোম > ইসলাম

গোড়ালির নিচে কাপড় পরা নিষেধ

মুফতি খালিদ কাসেমি

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭: ৪৩
আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭: ৪৩

পুরুষের জন্য নামাজ বা নামাজের বাইরে গোড়ালির নিচে পায়জামা, লুঙ্গি, প্যান্ট কিংবা জোব্বা পরিধান করা মাকরুহে তাহরিমি। এমন ব্যক্তির ব্যাপারে মহানবী (সা.)-এর পক্ষ থেকে কঠিন সতর্কবার্তা বর্ণিত হয়েছে। এখানে এ সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো।

এক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘পরিধেয় কাপড়ের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নিচে থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে।’ (বুখারি)

অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তির দিকে তাকাবেন না, যে অহংকারের সঙ্গে তার পোশাক টেনে চলে।’ (বুখারি)

আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তির পায়জামা পায়ের গোড়ালির অর্ধেক হয়ে থাকে। তবে তা পায়ের গিরা পর্যন্ত হলেও তাতে কোনো ক্ষতি নেই এবং গুনাহ নেই। অবশ্য এর নিচ পর্যন্ত হলে তা জাহান্নামে যাবে। আর যে ব্যক্তি অহংকার করে নিজের পায়জামা ঝুলিয়ে পরবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না।’ (আবু দাউদ)

হাদিসগুলো কেবল পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য। ওপরের হাদিসগুলো থেকে বোঝা যায়, পায়ের গোছার অর্ধেক পর্যন্ত পায়জামা বা যেকোনো কাপড় পরিধান করা মোস্তাহাব। আর পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পরিধান করা বৈধ। গোড়ালির নিচে পরিধান করা নিষিদ্ধ।

এক হাদিসে গোড়ালির নিচে কাপড় পরিধানকারীদের ব্যাপারে সাবধানবাণী এসেছে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কাপড় গোড়ালির নিচে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকবে। কারণ এটি অহংকারের লক্ষণ। আর মহান আল্লাহ অহংকার পছন্দ করেন না।’ (মিশকাত)

কিছু হাদিসে গোড়ালির নিচে কাপড় পরাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে অহংকারের কারণে। এর উদ্দেশ্য এই নয় যে যদি মনে অহংকারের নিয়ত না থাকে তাহলে পরা বৈধ। বরং অহংকারের নিয়ত থাকুক বা না থাকুক—পুরুষের জন্য সর্বাবস্থায় টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা নিষিদ্ধ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

রজব মাসের অনন্য ফজিলত

আইন ও ফিকহের দৃষ্টিতে গ্রাফিতি অঙ্কন

আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম