মাওলানা ইসমাইল নাজিম
সিজদা নামাজের গুরুত্বপূর্ণ একটি ফরজ। প্রতি রাকাতে দুটি করে সিজদা আদায় করতে হয়। সিজদা আদায়ের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সুন্নত রয়েছে। এখানে তা তুলে ধরা হলো ১. তাকবির বলা অবস্থায় সিজদায় যাওয়া। (বুখারি: ৮০৩) ২. প্রথমে উভয় হাঁটু মাটিতে রাখা। (আবু দাউদ: ৮৩৮) ৩. তারপর হাতের আঙুলগুলো কিবলামুখী করে সম্পূর্ণরূপে মিলিয়ে মাটিতে নাক বরাবর রাখা। (বুখারি: ৮২৮) তবে নারীরা অত্যন্ত জড়সড় ও সংকুচিত হয়ে সিজদা করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ২৭৭৭) ৪. তারপর উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা বরাবর নাক রাখা।
(আহমদ: ১৮৮৯৪) ৫. তারপর কপাল রাখা। (আহমদ: ১৮৮৮০) ৬. দুই হাতের মাঝে সিজদা করা ও দৃষ্টি নাকের অগ্রভাগের দিকে রাখা। (মুসলিম: ৪০১) ৭. সিজদায় পেট ঊরু থেকে পৃথক রাখা। (মুসলিম: ৪৯৬) তবে নারীরা উভয় রানের সঙ্গে পেট মিলিয়ে রাখবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ২৭৭৭) ৮. পাঁজরদ্বয় থেকে উভয় বাহু পৃথক রাখবে। (বুখারি, হাদিস: ৮০৭) তবে নারীরা বাহুদ্বয় যথাসাধ্য পাঁজরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ২৭৮১) ৯. কনুই মাটি ও হাঁটু থেকে পৃথক রাখবে। (বুখারি: ৮২২) তবে নারীরা কনুই মাটিতে মিলিয়ে রাখবে এবং পায়ের পাতাগুলো দাঁড়ানো না রেখে (ডান দিকে বের করে) মাটিতে বিছিয়ে রাখবে আর আঙুলগুলো যথাসাধ্য কিবলামুখী রাখবে। (মারাসিলে আবি দাউদ: ৮৭) ১০. সিজদায় কমপক্ষে তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পড়া। (আবু দাউদ: ৮৭০) ১১. তাকবির বলা অবস্থায় সিজদা থেকে ওঠা। (বুখারি: ৮২৫) ১২. প্রথমে কপাল, (তারপর নাক) তারপর উভয় হাত, তারপর উভয় হাঁটু ওঠানো। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ২৯৫৮)
মাওলানা ইসমাইল নাজিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক