হোম > ইসলাম

যানবাহনে নামাজ পড়বেন যেভাবে

ইসলামে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। নামাজ মানুষের জীবনকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে এবং আধ্যাত্মিকতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। স্বাভাবিক অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা আবশ্যক। যানবাহনে নামাজের সময় হয়ে গেলে উপযুক্ত পরিবেশ থাকলে যথানিয়মে নামাজ আদায় করা চাই। তবে কখনো কখনো প্রয়োজনের কারণে কিছুটা শিথিলতা আছে। নিচে যানবাহনে নামাজ আদায়ের নিয়ম তুলে ধরা হলো। 

বাস
• সাধারণত বাসে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবে নামাজ পড়া যায় না। তাই কাছাকাছি যাতায়াতের ক্ষেত্রে গন্তব্যে পৌঁছে নামাজ আদায় করবেন। 
• ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগেই গন্তব্যে পৌঁছা সম্ভব হবে না মনে হলে গাড়ি থেকে নেমে নামাজ আদায় করবেন। 
• দূরের যাত্রা হলে অথবা বাস থেকে নামলে ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা থাকলে বা বাস না থামলে সিটেই যেভাবে সম্ভব বসে বা ইশারায় নামাজ আদায় করে নেওয়া যাবে। তবে পরবর্তী সময়ে সতর্কতামূলক এর কাজা করে নেওয়া ভালো। 

নৌযান
• লঞ্চ যদি উপকূলে নোঙর করা থাকে, শান্ত থাকে, দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা সম্ভব হয়, তবে দাঁড়িয়েই নামাজ পড়তে হবে। 
• নোঙর করা আছে এবং সাগর অশান্ত হওয়ায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা সম্ভব নয়, তবে বাইরে গিয়ে নামাজ পড়ার সুযোগ আছে, তাহলে লঞ্চে নামাজ বৈধ নয়। 
• চলন্ত লঞ্চে দাঁড়াতে না পারলে সর্বসম্মতিক্রমে বসে নামাজ আদায় করা যাবে। 
• আর দাঁড়াতে পারলে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে, বসে আদায় করলেও নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে, তবে তা মাকরুহ হবে। ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ (রহ.) বলেন, দাঁড়িয়েই নামাজ আদায় করতে হবে। 
• দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার কারণে মাথা চক্কর দিলে সর্বসম্মতিক্রমে বসেই নামাজ পড়া যাবে। 

রেল
• রেল যদি স্টেশনে থেমে থাকে এবং প্ল্যাটফর্মে নামাজের ব্যবস্থাও থাকে, তারপরও রেলের ওপর নামাজ আদায় করা জায়েজ। 
• চলন্ত রেলে নামাজ পড়া বাইরে সমতলে নামাজ পড়ার মতোই। 

বিমান
• সমতলের মতো উড়োজাহাজেও নামাজ আদায় করা যাবে। কাবা শরিফকেই সামনে রেখে নামাজ পড়তে হবে এ রকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বরং কাবার বরাবর ওপরের দিকে পুরো বায়ুমণ্ডলই কেবলা। তাই যত উঁচু স্থানেই মানুষ থাকুক নামাজ আদায় করা যাবে। 

যানবাহনে কেবলা ঠিক রাখা
• যানবাহনে কেবলামুখী হয়ে নামাজ পড়ার সুযোগ থাকলে ফরজ নামাজ শুরুর সময় এবং নামাজ পড়াকালীন উভয় অবস্থাতেই কেবলামুখী হওয়া জরুরি। 
• যদি কেবলামুখী হয়ে নামাজ শুরুর পর যানবাহন দিক পরিবর্তন করে, তখন মুসল্লিরও দিক পরিবর্তন করা চাই। 
• যদি যানবাহনে কেবলামুখী হয়ে নামাজ পড়ার সুযোগ না থাকে এবং নেমে যাওয়ারও সুযোগ না থাকে, তবে ফরজ নামাজ মুসল্লি নিজের সুবিধামতো আদায় করতে পারবেন। 
• এ ক্ষেত্রে রুকু-সেজদা করতে পারলে পরবর্তীতে নামাজের পুনরাবৃত্তি করার দরকার নেই। 
• যদি ইশারায় আদায় করতে হয় তবে সতর্কতামূলক নামাজের পুনরাবৃত্তি করা উচিত। 

সূত্র: জাদিদ ফিকহি মাসায়েল: ১/ ৮৭-৯০

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

নির্বাচনের কারণে এগিয়ে এল কওমি মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় পরীক্ষা

শুরু হচ্ছে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ কোরআন প্রতিযোগিতা

প্রবীণ সুফি পীর জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি আর নেই

অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে যে আমল

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

যেভাবে অন্যদের ভুল শুধরে দিতেন নবীজি

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

মিসরে কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাসকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা

জুমার নামাজ ছেড়ে দেওয়ার ভয়াবহ পরিণতি