সুরা কদর পবিত্র কোরআনের ৯৭তম সুরা। এতে পাঁচটি আয়াত ও একটি রুকু রয়েছে। সুরাটিতে থাকা কদর শব্দ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে। এই সুরার প্রথম আয়াতে কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি এটি নাজিল করেছি মহিমান্বিত রাতে।’ (সুরা কদর: ০১)। বাকি চার আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে শবে কদরের সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্বের কথা।
গুরুত্বপূর্ণ এই সুরা মক্কায় নাজিল হয়েছিল। তবে কিছু আলেমের মতে, এটি মদিনায় নাজিল হওয়া প্রথম সুরা।
সুরা কদরের ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সুরা কদর কোরআনের এক-চতুর্থাংশের সমান অর্থাৎ চারবার পড়লে এক খতম কোরআনের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবে।’ (কানজুল উম্মাল: ২৭১০)
তাফসিরকারেরা সুরাটি অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের বনি ইসরাইলের এক বুজুর্গের ঘটনা শোনালেন; যিনি টানা ৮৪ বছর অথবা হাজার মাস আল্লাহর পথে যুদ্ধ করেছেন। সাহাবায়ে কেরাম এই ঘটনা শুনে খুব অনুশোচনা করলেন। তাঁরা বললেন, ‘আগের উম্মতেরা দীর্ঘ হায়াত পাওয়ায় অনেক ইবাদত-বন্দেগি করতে পারতেন। কিন্তু আমরা তো অল্প আয়ু পাই। সত্যিই আমরা হতভাগা।’ তাঁদের এ আফসোসের পর আল্লাহ তাআলা সুরা কদর অবতীর্ণ করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কদরের রাত দান করেছি।’ (তাফসিরে জালালাইন: ৭ / ৫২৯)
ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মতে, লাইলাতুল কদরের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার মতো রাত পৃথিবী আর কোনো দিন দেখেনি। আগের কোনো উম্মত এ বরকত পাননি। এটি শুধু মহানবী (সা.)–এর উম্মতকে দেওয়া হয়েছে। তাই এ রাতকে মূল্যায়ন করতে হবে।