হোম > ইসলাম

হাদিসে খেজুরের পুষ্টিগুণের কথা

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

খেজুর আল্লাহর বড় নেয়ামত। এটি সুস্বাদু ও রক্তবর্ধক একটি ফল। কোরআন-হাদিসে খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেক বর্ণনা রয়েছে।

মহানবী (সা.)-এর সময় খেজুর আরববাসীদের প্রধান কৃষিপণ্য ও প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। মাওয়ারদি (রহ.) বলেন, ‘স্ত্রীলোক যখন প্রসবে অসুবিধার সম্মুখীন হয়, তখন খেজুর অপেক্ষা উপকারী বস্তু আর নেই। কারণ এটি শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করে এবং কোমর ও বিভিন্ন অঙ্গের জোড়া মজবুত করে।’

খেজুর আহার হিসেবে যেমন সুস্বাদু তেমনি মানসিকভাবে এর স্বাদ উপভোগ্য। তাইতো আল্লাহ তায়ালা হজরত মরিয়মকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, ‘ওই খেজুর গাছের কাণ্ডটি ধরে নিজের দিকে ঝাকুনি দাও। তা থেকে সদ্য পাকা খেজুর তোমার সামনে ঝরে পড়বে। এরপর তা খাও।’ (সুরা মারইয়াম: ২৫)

খেজুর অধিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য হওয়ায় মহানবী (সা.) তা খেতে পছন্দ করতেন। আব্দুল্লাহ ইবন জাফর (রা.) বলেন, ‘আমি মহানবী (সা.)-কে তাজা পাকা খেজুর শসার সঙ্গে মিলিয়ে খেতে দেখেছি।’ (বুখারি) আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) তাজা খেজুরের সঙ্গে তরমুজ খেতেন।’ (বুখারি)

খেজুরের ক্রিয়া গরম এবং শসা ও তরমুজের ক্রিয়া ঠান্ডা। খেজুরের সঙ্গে শসা অথবা তরমুজ মিলিয়ে খেলে খেজুর তাদের ঠান্ডা দূর করে এক প্রকার শক্তি তৈরি করে, যা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীর তরতাজা করে।

আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমাকে স্বামীগৃহে পাঠানোর সময় আমার মা মনে করলেন, আমার শরীর যেন হৃষ্টপুষ্ট হয়ে ওঠে। তাই আমাকে খেজুর ও শসা খেতে দেন। এতে আমি বেশ মোটাতাজা হলাম।’ (শামায়েলে তিরমিজি)

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নামাজের ইমামতি করতে যে যোগ্যতা দরকার

কোরআনে ইসলাম প্রচারকের অপরিহার্য ৫ গুণ

জানাজা ও কাফনদাফনে অংশ নেওয়ার সওয়াব

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

নামাজে সতর ঢাকা সম্পর্কে সতর্কতা

সেকশন