হোম > ইসলাম

রোগী দেখতে গেলে কী করবেন

আবরার নাঈম, মুহাদ্দিস

এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। এই ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রক্তের নয়, ইমানের। আর সেই ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের খাতিরেই এক মুসলমান অসুস্থ হলে অপর মুসলমানের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তায়। যথা—

১. অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া। হোক সে প্রতিবেশী কিংবা দূরের কেউ। অসুস্থ হলে তার সেবাযত্ন করা একজন মুমিনের ইমানি ও নৈতিক দায়িত্ব। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে আমি বলতে শুনেছি, ‘এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটি—১. সালামের জবাব দেওয়া। ২. অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজখবর নেওয়া। ৩. জানাজায় অংশ নেওয়া। ৪. নিমন্ত্রণ কবুল করা ও ৫. হাঁচির জবাব দেওয়া।’ (বুখারি: ১২৪০)

২. রোগীকে সান্ত্বনা দেওয়া। অসুস্থতা গুরুতর হোক কিংবা কম, তাকে সান্ত্বনা দেওয়া, হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয়, তা হাদিসে পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের কাছে এলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেন, ‘তোমার চিন্তার কোনো কারণ নেই। ইনশা আল্লাহ তুমি সুস্থ হয়ে যাবে।’ (বুখারি: ৭৪৭০)

৩. অসুস্থতায় গুনাহ মাফ হয়, তা রোগীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হলে আল্লাহ তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করেন, যেমন হাপর লোহাকে পরিচ্ছন্ন করে।’ (আদাবুল মুফরাদ-৪৯৯)। অন্য এক হাদিসে হজরত আয়েশা (রা.) থেকে একটু বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘কোনো মুসলমান ব্যথা-বেদনা বা রোগব্যাধির দ্বারা বিপদগ্রস্ত হলে তা তার গুনাহর কাফফারা হয়, এমনকি তার দেহে কাঁটা বিঁধলে বা লাগলে বা সে হোঁচট খেলে তা-ও।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৫০০)

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

নামাজে সতর ঢাকা সম্পর্কে সতর্কতা

সীমান্ত পাহারা দেওয়া শ্রেষ্ঠতম ইবাদত

কবরে যে ২ গুনাহের শাস্তি দেওয়া হবে

মুমিনের চমৎকার ৪ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

সেকশন