বিশ্বের শীর্ষ ধনী তিনি। চাইলেই নিজের স্বপ্নপূরণের ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু জেনে অবাক হবেন, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে নিজেই মহাকাশ যান তৈরির কোম্পানি স্থাপন করেছেন। এরপর নিজের রকেট জাহাজ নিউ শেপার্ডে করে মহাকাশ ভ্রমণে বেড়িয়েছেন।
মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন প্রায় চার দশক আগে। ১৯৮২ সালের কথা সেটা। মিয়ামির পালমেটো হাইস্কুলে ৬৮০ জন শিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে প্রথম হন বেজোস। সেই সুবাদে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় একটি পত্রিকায় তাঁর সে বক্তব্য ছাপা হয়। সেখানে লেখা হয়, জেফ বেজোস মহাকাশে হোটেল, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও কলোনি স্থাপন করতে চান। এতে ২০ থেকে ৩০ লাখ মানুষ পৃথিবী প্রদক্ষিণের সুযোগ পাবেন। পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখতেই তাঁর এ পরিকল্পনা।
মহাকাশে বসতি গড়ে গোটা বিশ্বকে তিনি ন্যাশনাল পার্কে বদলে দিতে চান।
এতটুকু পড়ে বেজোসকে নিশ্চয়ই পাগল ভেবেছিল সবাই। কিন্তু বেজোস ছিলেন অন্য ধাতুতে গড়া, সমালোচনায় থামেননি বলেই আকাশ ছুঁয়েছেন। হয়েছেন বিশ্বের সেরা উদ্যোক্তাদের একজন।
সফল ব্যবসা দাঁড় করাতে অন্যদেরও প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা দেন।
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য তাঁর দেওয়া ১০টি পরামর্শ এখানে তুলে ধরা হলো:
১৯৯৪ সালে অনলাইন বুকশপ হিসেবে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন জেফ বেজোস। বিনিয়োগের অর্থ পেয়েছিলেন মা-বাবার কাছে।
অনলাইনে বুক বিক্রির প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন আদৌ সফল হবে কি না, তা নিয়ে নিজেই সন্দিহান ছিলেন বেজোস। শঙ্কার কথা মাকে জানিয়ে বলেছিলেন, ‘সফলতা আসার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ।’
পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে বেজোস জানান, কখনোই ভাবেননি অ্যামাজন এত বড় হবে। অ্যামাজনের সফলতায় সবচেয়ে বেশি অবাক তিনিই হয়েছেন। বর্তমানে ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমাণ ১৯৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
সূত্র: থাউজেন্ড ইয়ারস অব ক্যারিয়ার অ্যাডভাইস, সিএনবিসি
অনুবাদ: আনিকা জীনাত