কর্মক্ষেত্র নিয়ে প্রচলিত প্রবাদ হলো—‘নিজের পছন্দের কাজ করুন’ বা ‘কাজকে ভালোবাসুন’। তবে বাস্তবে কাজের চাপের কারণে অনেক সময় এই ধারণা মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়ে। চাকরির ক্ষেত্রে কাজের চাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। এমন কিছু চাকরি রয়েছে যা মাত্রারিক্ত মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সব চাকরি এমন নয়। ২০২৫ সালে উচ্চ বেতনের ও কম চাপের এমন অনেক চাকরির সুযোগ রয়েছে যা আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ ফিরিয়ে আনতে পারে।
পেশারদারদের সিভি লেখার প্ল্যাটফর্ম ‘রিজিউমে জিনিয়াস’–এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমন কিছু উচ্চ বেতন এবং কম চাপের চাকরির কথা বলা হয়েছে। আগামী বছরগুলোতে এসব চাকরির বেশ চাহিদা থাকবে। এই চাকরিগুলোর গুণগত পার্থক্য হলো—এগুলো কর্মীদের জন্য ভালো ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স (কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনে মধ্যে সীমারেখা) নিশ্চিত করে। এগুলোতে কাজের চাপ তুলনামূলকভাবে কম, অথচ সেগুলোর বেতন বেশ ভালো।
‘লো-স্ট্রেস, হাই-পেইং জবস’ প্রতিবেদনে ২০২৫ সালের এমন ১৫টি চাকরির কথা উল্লেখ রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ওয়াটার রিসোর্স স্পেশালিস্ট বছরে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪০ ডলার আয় করতে পারেন, আর নভোচারীরা প্রায় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩০ ডলার আয় করেন। এছাড়া, অ্যাকচুয়ারী ১ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিস্ট ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩০ ডলার ক্ষেত্রেও বেশ ভালো বেতন রয়েছে।
এছাড়া, গণিতবিদ ১ লাখ ৪ হাজার ৮৬০ ডলার, কম্পিউটার সিস্টেম অ্যানালিস্ট ১ লাখ ৩ হাজার ৮০০ ডলার এবং ফুয়েল সেল ইঞ্জিনিয়ার ৯৯ হাজার ৫১০ ডলার এর মতো চাকরিও খুব লাভজনক হতে পারে।
তবে, রিমোট সেন্সিং সায়েন্টিস্ট, ভূগোলবিদ এবং ট্রান্সপোর্টেশন প্ল্যানার এর মতো চাকরিগুলোতেও কম চাপ থাকে, একইসঙ্গে বেতনও ভালো। এসব পেশায় গড়ে বার্ষিক আয় যথাক্রমে ৯২ হাজার ৫৮০ ডলার, ৯০ হাজার ৮৮০ ডলার এবং ৮১ হাজার ৮০০ ডলার।
কিছু চাকরি যেমন রেইলকার রিপেয়ারার, টেইপার, পাম্প অপারেটর, টায়ার বিল্ডার, এবং ক্রাফট আর্টিস্টের বেতন কম হলেও এগুলোতে চাপ তুলনামূলকভাবে কম এবং যথেষ্ট সুযোগও রয়েছে।
রিজিউমি জিনিয়াসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কম চাপের চাকরি এমন কাজ যা সাধারণত কম শারীরিক পরিশ্রম, নির্ধারিত কাজের সময় এবং সমর্থনমূলক পরিবেশ প্রদান করে। এই ধরনের চাকরিগুলো কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ বা অতিরিক্ত কাজের চাপ ছাড়াই ভালো আয়ের সুযোগ দেয়।
তাই আপনি যদি কম চাপের চাকরি খুঁজে থাকে, তবে এমন চাকরির দিকে নজর দিন যেগুলোতে শারীরিক পরিশ্রম কম অথবা যেগুলোতে রিমোট বা দূরবর্তী কাজের সুযোগ আছে। রিমোট কাজ আপনার কাজের পরিবেশকে আরো আরামদায়ক করতে সাহায্য করবে এবং পাশাপাশি যাওয়া আসাতে অতিরিক্ত সময় হারানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে।