এ মাসের ২৬ তারিখ থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শুরু হতে যাচ্ছে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ফলে বোঝা যাচ্ছে, বিশ্বের সেরা অ্যাথলেটদের পদচারণায় মুখরিত অলিম্পিক ভিলেজের রেস্তোরাঁ হয়ে উঠবে সেরাদের সেরা। দুনিয়ার সেরাদের খাওয়াতে হবে তো!
এর মধ্যে সংবাদ এসেছে, দু শর বেশি শেফ প্রায় ১৩ মিলিয়ন রেসিপি নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করছেন! তবে গৎবাঁধা রেসিপি দিয়ে কি আর সেরাদের উদরপূর্তির কথা ভাবা যায়? তার ওপর আছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ। রেস্তোরাঁয় তেল–চর্বি আর ভারী খাবার রাখা যাবে না।
ভাবতে হবে শক্তি আর পুষ্টির দিকটাও। আবার স্বাদও থাকা চাই অটুট। তার ওপর আছে পরিবেশ রক্ষার বিধিবিধান। অলিম্পিক ভিলেজের খাবার তৈরিতে যেন কার্বন নিঃসরণ কম হয়, সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখার নির্দেশনা পেয়েছেন বিশ্ব বিখ্যাত শেফরা। যেমন, রান্নার উপকরণের ২০ শতাংশ হতে হবে অরগানিক। খাবার তৈরির সময় চার ভাগের এক ভাগ উপকরণ ও উপাদান যেন প্যারিসের ২৫০ কিলোমিটারের মধ্য় থেকে জোগান দেওয়া যায়, সে হিসাবও কষতে হবে শেফদের। রান্নায় যত দুধ, মাংস ও ডিম ব্যবহার করা হবে তার সবটাই ফ্রান্সের ভেতর থেকে সংগ্রহ করতে হবে। খাবারের এক-তৃতীয়াংশ আবার উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে আসতে হবে।
এসবের মিশেলেই এবার তৈরি হবে অলিম্পিক ভিলেজের খাবার–দাবার। ফ্রান্সের বিখ্যাত কয়েকজন শেফ এরই মধ্যে নিজেদের সিগনেচার ডিশ সাজিয়ে ফেলেছেন। আর তা এসব নিয়ম মেনেই হয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, সেরা অ্যাথলেটদের জন্য সেরা শেফেরা কী কী রান্না করছেন।
কয়েক মাস ধরেই গিলয় ও তাঁর দল খেটে যাচ্ছেন ক্রীড়াবিদদের জন্য খাবার তৈরির নিরীক্ষাধর্মী কাজ নিয়ে। তিনি সিগনেচার রেসিপি তৈরি করেছেন সবুজ মসুর ডাল দিয়ে। গিলয় উচ্চমানের প্রোটিন আর সহজপাচ্য এ দুটি বিষয়ের সামঞ্জস্য ঘটিয়েছেন নিজের রেসিপিতে। মসুর ডালের সঙ্গে টক দই ব্যবহার করেছেন যাতে প্রোটিনের সঙ্গে আরও যুক্ত হয় স্বাস্থ্যকর প্রোবায়োটিকস। এতে আরও যুক্ত করা হয়েছে লেবুর রস ও তাজা ধনেপাতা। টপার হিসেবে দেওয়া হয়েছে ফ্রেঞ্চ বেকড ওয়েফার।
সূত্র ও ছবি: বিবিসি