সবুজ পাহাড়, চা-বাগান, নদীর স্বচ্ছ জল, পাথর আর ঝরনা—এসব মিলিয়ে সিলেটের অন্যতম সুন্দর উপজেলা গোয়াইনঘাট। প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অনেক পর্যটকের সমাগম ঘটে। অন্যবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ভ্রমণপিপাসুদের নজর কাড়তে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এখানকার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। আবাসিক হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও দোকানগুলোকে সাজানো হয়েছে।
জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, মায়াবী ঝরনাসহ সব কটি পর্যটন স্পটে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ঈদের ছুটিতে ঘুরতে এসে পর্যটকেরা যাতে হয়রানি বা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার না হন, সে জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা। পর্যটন পুলিশ এবং গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশের কয়েকটি ইউনিট এ জন্য কাজ করবে।
বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের ব্যবস্থাপকেরা জানান, অতিথিদের স্বাগত জানাতে হোটেল-মোটেলে সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তাহলে ব্যাপক পর্যটক আসবেন বলে ধারণা করছেন তাঁরা। ঈদে পর্যটকদের সেবাই থাকবে তাঁদের মূল লক্ষ্য।
পর্যটন ব্যবসায়ী মান্নান আহমেদ বলেন, ঈদে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দোকানগুলো নতুন নতুন মালামাল দিয়ে সাজানো হয়েছে।
জাফলং গ্রিন রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জাফলং পর্যটন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত বলেন, ‘এবারের ঈদকে সামনে রেখে আমাদের রিসোর্টে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পর্যটকেরা যাতে এখানে এসে কম খরচে নিরাপদে থাকতে পারেন সেদিকে লক্ষ রাখা রয়েছে।’
এদিকে আজ রোববার সকালে উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাফলং পর্যটন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে করণীয়-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের ঈদে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকদের সেবার মান বৃদ্ধি করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করবে। পর্যটন স্পটে সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।