বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে পৌঁছে গেছেন শীর্ষ ৪-এ। বাঙালি খাবারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুনভাবে তুলে ধরেছেন তিনি। মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম মৌসুম প্রচারিত হচ্ছে ডিজনি প্লাস হটস্টার প্রিমিয়ামে। মাছের ঝোল, ভর্তা, ফুচকা-চটপটি, মাছ ভাজা, খাসির রেজালা, কালা ভুনা বানিয়ে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন।
তিনি যে শুধু ভারতীয় উপমহাদেশের খাবার রান্না করছেন তা নয়। মিয়ানমারের জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড চিকেন কাও সই রান্না করেও তিনি বিচারকদের মন জয় করেন। এতে উপকরণ হিসেবে ছিল: লেবু, লবণাক্ত চিনাবাদাম, মরিচ দেওয়া সয়াসস। এর আগের পর্বগুলোয় খুব সাধারণ খাবারগুলোকেই তিনি উপস্থাপন করেছেন ভিন্নভাবে। একটি পর্বে কুলফি বানিয়েও সবাইকে চমকে দেন তিনি। চমৎকারভাবে সাজানো কুলফিটির নাম দেন ‘পারসিয়ান ভ্যানিলা অ্যান্ড রোজেস’। আগামী ১৩ জুলাই মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় শেষবারের মতো পরীক্ষা দিতে হবে তাকে।
মাস্টারশেফে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিযোগী রেস্তোরাঁ খোলার স্বপ্ন দেখেন। এদিক দিয়ে ব্যতিক্রম কিশোয়ার। পরিবারের কাছ থেকে শেখা রেসিপিগুলো নিয়ে বই লেখার ইচ্ছা আছে তার। তিনি যে রান্নাগুলো শিখেছেন, সেগুলো কয়েক প্রজন্ম পুরোনো। এই রেসিপিগুলোই একটু ভিন্নভাবে তৈরি করেন তিনি।
৩৮ বছর বয়সী কিশোয়ার চৌধুরীর জন্ম অস্ট্রেলিয়ায়। তার বাবা বাংলাদেশি। মা ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা।