নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাতে প্যাঁচার গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েছিল পুষ্পা। কোনোভাবেই ঘুমোতে চাচ্ছিল না। দিদা বলেছিলেন, তাড়াতাড়ি ঘুমাও, সকাল হলেই দেখবে একটা ছোট্ট প্যাঁচা খাবার টেবিলে চলে এসেছে। পুষ্পা অবাক হয়ে বলেছিল, সত্য়ি! কিন্তু খাবারের টেবিলে আসবে কেন? দিদা বললেন, সেটা সকাল হলেই দেখবে।
পরদিন সকালে দিদা পুষ্পাকে ডাকলেন। না, কোনোভাবেই উঠতে চাইছে না সে। দিদা কানে কানে বললেন, প্যাঁচা এসেছে জানো? চোখ পিটপিট করে একঝটকায় বিছানা ছেড়ে উঠল পুষ্পা। কবজি দিয়ে চোখ কচলাতে কচলাতে বলল, কোথায়, বলো না! চলো ডাইনিংয়ে, কিন্তু তার আগে ব্রাশ করে নিতে হবে। পুষ্পা একদিকে মাথা কাত করে দাঁত মেজে নিল।
ডাইনিংয়ে এসে পুষ্পা তো প্যাঁচা খুঁজেই পাচ্ছে না। প্রশ্নবিদ্ধ চোখে দিদার দিকে তাকাতেই দিদা টেবিলে রাখা প্লেটের ওপর থেকে ঢাকনা সরালেন। ওমা, এটাই তাহলে প্যাঁচা! পাউরুটি, পনির স্লাইস, গাজর, শসা, সেদ্ধ ডিম দিয়ে কী সুন্দর প্যাঁচা বানিয়ে ফেলেছেন দিদা। পুষ্পা তো দারুণ খুশি হলো। বলল, দিদা, দাও না আমিও তোমার জন্য একটা প্যাঁচা বানাই। দিদার বানানো পাউরুটির প্যাঁচা দেখে পুষ্পাও বানিয়ে ফেলল ছোট্ট একটা প্যাঁচার ছানা। তারপর? দুজনেই কামড় দিল পাউরুটিতে।