হোম > জীবনধারা

নিরাপদ সৌন্দর্যচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদান

আমরা প্রতিদিন যেসব শ্যাম্পু, ক্লিনজার ও বডি ওয়াশ ব্যবহার করি, এগুলোর প্রধান উপকরণ হলো সোডিয়াম লরেল সালফেট। এই উপকরণ ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে ত্বক বা চুলের ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া আমাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রসাধনীতে প্যারাবিন থাকে। ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এই উপাদান। এখন বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান দাবি করে, তাদের প্রসাধনীতে প্যারাবিন থাকে না। তাই প্রসাধনী কেনার সময় প্যাকেট বা বোতলের গায়ে এসব উপকরণের নাম ভালো করে দেখে নিতে হবে। সিলিকনের প্রভাবে বিভিন্ন ময়শ্চারাইজার ও সেরাম ত্বক মসৃণ করে তোলে। সাময়িক উজ্জ্বলতা দিলেও পরে এই উপাদান আমাদের ত্বক শুষ্ক ও পানিশূন্য করে ফেলে। তাই এড়িয়ে চলতে হবে সিলিকনও। রাসায়নিক উপাদান এড়িয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ও চুলের যত্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ভেষজ বিশেষজ্ঞ এবং আমলকীর প্রধান নির্বাহী নন্দিতা শারমিন।

ত্বকের যত্নে

  • শসা: শসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও মিনারেল, যা ত্বক ঠান্ডা রাখে। এ জন্য যখনই সময় পাবেন, ত্বকে শসা বা শসার রস লাগান। এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং ঠান্ডা থাকবে।
  • হলুদ: হলুদে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। হলুদের রস, বেসন ও টক দই মিশিয়ে সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন। আপনার ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয়ে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
  • চা-পাতা: চা-পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে। তাই চা-পাতার রস আইস কিউব বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। যখন সময় পাবেন, চোখের নিচেসহ পুরো মুখে ম্যাসাজ করবেন। দেখবেন ত্বকে স্নিগ্ধ ভাব এসেছে।
  • পেঁপে: পেঁপে ত্বক উজ্জ্বল করে, তাই সপ্তাহে অন্তত দুবার ত্বকে পাকা পেঁপে মেখে দেখতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর হবে।
  • পুদিনাপাতা: পুদিনাপাতা ত্বক ঠান্ডা রাখে। এর রসের সঙ্গে মসুরের ডালের পেস্ট মিশিয়ে ত্বকে মাখতে পারেন। এতে ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ।

চুলের যত্নে

  • মেথি ও নারকেল তেল: সপ্তাহে অন্তত তিন দিন নারকেল তেলের সঙ্গে মেথির গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মাথার ত্বকে মাখুন। ৩০ মিনিট রেখে শাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুল ঘন ও খুশকিমুক্ত থাকবে।
  • অ্যালোভেরা: তাজা অ্যালোভেরা চুলের গোড়া থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত দিতে পারেন মাঝে মাঝে। এটি চুলকে করে তুলবে রেশমি ও মসৃণ।
  • টক দই ও ডিম: মাসে দুবার টক দই ও ডিম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এই প্যাক চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্ট হিসেবে কাজ করে চুলকে করে তোলে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও সুন্দর।
  • কালিজিরার তেল: কালিজিরার তেলের সঙ্গে সমপরিমাণ নারকেলের বা তিলের তেল মিশিয়ে সপ্তাহে অন্তত তিনবার মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। এতে চুলের ঘনত্ব বাড়বে।
  • পানপাতা: মাঝে মাঝে পানপাতার রস মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। পানপাতার রস চুলের উকুন ও খুশকি দূর করে।

সাময়িক উজ্জ্বলতা দিলেও পরে রাসায়নিক উপাদানসমৃদ্ধ পণ্য ত্বক শুষ্ক ও পানিশূন্য করে ফেলে। তাই ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা ভালো। এটি ত্বক ও পরিবেশ–দুটোর জন্যই মঙ্গলজনক।

পিৎজার দাম ১৫ হাজার টাকা

নেপালে অ্যাডভেঞ্চার বাঞ্জি জাম্পিং ও প্যারাগ্লাইডিংয়ের রোমাঞ্চ

রোমাঞ্চকর রেইছা ঝিরির পথে

চার মাসব্যাপী বাহা উইন্টার ফেস্টিভ্যাল

এ বছরের ট্রেন্ডে থাকছে একক ভ্রমণ প্রবণতা

৬ বছর ভাত, ফল, সবজি না খেয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা ইসাবেলার

আফরিনের ডেনিম ফিউশন

রুক্ষ ত্বকের যত্নে যা করবেন

চুলের স্টাইলিংয়ে নতুন ধারা

শখের জিনিসে টাকা অপচয় হচ্ছে না তো

সেকশন