হোম > জীবনধারা

এক টুকরো ফুলের গল্পকথা

মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

অলংকার পছন্দ করেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে একেক জনের পছন্দ একেক রকম। কেউ হয়তো ভারী গয়না পরতে পছন্দ করেন। আবার কেউ পছন্দ করেন হালকা গয়না পরে ঘুরে বেড়াতে। কেউ সোনার তো কেউ অন্য ধাতুর গয়না পছন্দ করেন।

অবশ্য এখন গয়না শুধু সোনা, রুপা কিংবা হীরার মধ্যে আটকে নেই। গয়নার উপকরণের যেমন ব্যাপকতা বেড়েছে, তেমনি নকশায়ও বেড়েছে বৈচিত্র্য।
ইদানীং রেজিনের গয়নার দেখা মিলছে। দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন স্বচ্ছ কাচের ভেতর ভাসছে ফুল, পাতাসহ আরও অনেক কিছু। কেউ কি ভেবেছেন এমন করে ফুল, পাতা, পাপড়িকে বন্দী করা যায়?

এ ধরনের গয়না মূলত রেজিন ও হার্ডেনার উপাদানের মিশ্রণে তৈরি এক রাসায়নিক বিক্রিয়া, যা তরল থেকে ধীরে ধীরে কঠিনে পরিণত হয়। রেজিনের গয়নার নকশা ফুল, পাতা, পাপড়ি ছাড়া কড়ি, শামুক, ঝিনুক দিয়েও তৈরি করা হয়।

অনেকেই এখন রেজিনের গয়না তৈরি করে বিক্রি করছেন। এর প্রতিটি গয়নার পেছনে আছে এক একটি গল্প।

কেউ হয়তো রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে সংগ্রহ করেন ফুল, পাতা, পাপড়ি। আবার কেউ কেউ নিজের বাগানের ফুল সংগ্রহ করে তৈরি করেন আকর্ষণীয় এই গয়না। রেজিনের গয়না দোকানে তেমন সহজলভ্য না হলেও ফেসবুকের অনেক গ্রুপ বা পেজে পাওয়া যায়।

‘গয়নার ডিব্বা’ পেজের স্বত্বাধিকারী আসমা আক্তার রেজিন দিয়ে সাধারণত চুড়ি, কানের দুল, গলার সেট, আংটি তৈরি করে থাকেন। এই গয়না বানিয়ে তিনি ‘আনন্দ পান’ বলে জানান।

অবশ্য আনন্দের পাশাপাশি আর্থিক বিষয়টিও আছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে রেজিনের চাহিদা আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে যেহেতু রেজিনের গয়নার প্রচারের পরিধি কম, তাই অনেকেই এই গয়না সম্পর্কে জানেন কম। আসমা আক্তার আশা করেন, ভবিষ্যতে রেজিনের গয়নার চাহিদা বাড়বে।

আসমা আরও বলেন, ‘রেজিনের গয়না তৈরি করতে প্রায় ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে। এসব গয়না তৈরির মূল উপকরণ রেজিন ও হার্ডনা। রেজিন ও হার্ডনার ২:১, ৩:২, ১:১ ইত্যাদি অনুপাতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের মোল্ড বা ছাঁচে ঢেলে গয়নাগুলোকে নির্দিষ্ট আকার দেওয়া হয়। শুকনো ফুল, রং ও অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে রেজিন ও হার্ডনার সঠিক অনুপাত মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হয়। সেই মিশ্রণ পছন্দসই ছাঁচে দিয়ে মনমতো ডেকোরেশন করে গয়না তৈরি করতে হয়।

‘তাজনোভা’স আরটিস্ট্রি’ পেজের স্বত্বাধিকারী আসমাউল হোসনা তাজনোভা বলেন, ‘রেজিনের ভেতরে চকচকে একটা ভাবের জন্য কাজ করার আগ্রহটা জন্মেছে। পাশাপাশি এই গয়না তৈরি করতে বেশ ভালোই লাগে।’

মূলত রেজিনের তিন অবস্থা। প্রথমে এটি খুব ক্ষতিকর একটা তরল রাসায়নিক অবস্থায় থাকে। দ্বিতীয় ধাপে এটি আঠালো জাতীয় রাবারে পরিণত হয়। তাই রেজিনকে খুব উন্নতমানের আঠালো পদার্থই বলা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে এটি খুব কঠিন পদার্থ। কঠিন হয়ে খুব সুন্দর চকচকে ভাব চলে আসে রেজিনে।

অবশেষে তৈরি হয় রেজিনের গয়না। রেজিন দিয়ে গলার লকেট, কানের দুল, আংটি, চুড়ি ছাড়াও তৈরি হয় হিজাব পিন, ব্রেসলেট ও চোকার।
তাজনোভা জানান, রেজিনের গয়না জনপ্রিয় হচ্ছে দেশে। এমন গয়না সচরাচর দেখা যায় না বলে সবাই এর প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। রেজিন প্রায় ছয় বছর ভালো থাকে। রেজিনের গয়না তৈরির সব কাঁচামাল চীন অথবা ভারত থেকে আনতে হয় বলে এগুলো বেশ ব্যয়বহুল। ভবিষ্যতে রেজিন দিয়ে চায়ের কাপ, পিরিচ, টেবিল, ট্রে ইত্যাদি বানানোরও ইচ্ছে আছে তাজনোভার।

আপনার প্রিয় সাজের সামগ্রী কত দিন নিরাপদ

আজকের রাশিফল: ঝগড়া করার খুব ইচ্ছা হবে, ঘরের বসকে মেনে চলুন

২০২৬ সালে যে অভ্যাসগুলো আপনাকে সফল করে তুলতে পারে

ডায়াবেটিসের রোগীদের কেন সময় মতো খাবার খাওয়া জরুরি

গ্রামের নাম মহিষখোলা

মাধবকুণ্ড ঝরনার পানিতে বিরল ঝরনাপাখি

বাংলাদেশের পর্যটক কমায় ভারতে নিম্নমুখী আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর সংখ্যা

আজকের রাশিফল: আত্মীয়রা কাঠি করবে, খিটখিটে মেজাজ বিচ্ছেদের কারণ হবে

আকাশে ঘুরে বেড়ানো এক নিঃসঙ্গ বাবার গল্প

হোটেল রুমের পরিচ্ছন্নতা ও শিষ্টাচার