Ajker Patrika
হোম > জীবনধারা

ঈদুল ফিতরে নানা দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার

অনলাইন ডেস্ক

ঈদুল ফিতরে নানা দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর উদ্‌যাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় হরেক পদের খাবারের আয়োজন। ঈদের দিনে সবাই চেষ্টা করেন পরিবার নিয়ে একসঙ্গে পছন্দের খাবার খেতে। একেক দেশে ঈদে একেক ধরনের খাবারের প্রচলন রয়েছে। তবে মিষ্টান্নজাতীয় খাবার ঈদের আয়োজনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। 

দক্ষিণ এশিয়া
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সেমাই ছাড়া যেন ঈদুল ফিতরের আয়োজন কল্পনাই করা যায় না। হরেক পদের সেমাইয়ের আয়োজন হয় এই অঞ্চলে। ঘি, চিনি দিয়ে সেমাই রান্না করা হয়। পাকিস্তানে এটি শির খুরমা নামেও পরিচিত। 

বাংলাদেশে ঈদে পোলাও-কোরমার আয়োজনও থাকে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই ঈদে নানা পদের খাবারের আয়োজন চলে। 

ইরাকের জাতীয় বিস্কুট হিসেবে পরিচিত ক্লাইচা তৈরি করছেন নারীরাতুরস্ক
ঈদে তুরস্কের মানুষ ‘বাকলাভা’ নামে একটি বিশেষ খাবার খেয়ে থাকে। এটি একটি মিষ্টান্নজাতীয় খাবার, যার মূল উপাদান রুটি, মাখন, আখরোট, পেস্তা বাদাম, কাঠবাদাম, তেল ও চিনি। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঈদের দিনে আনন্দ করে বাকলাভা খেয়ে ঈদ উদ্‌যাপন করে তুরস্কের মানুষ। 

ইরাক ও সৌদি আরব
রমজানে ইফতার ও সাহরিতে খেজুর একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ঈদেও খেজুর খেয়ে থাকেন অনেকেই। তবে ঈদে একটু ভিন্ন রেসিপিতে চলে খেজুর খাওয়ার আয়োজন। খেজুর, বাদাম, চিনি ও শুকনো নারকেল দিয়ে তৈরি একধরনের খাবারের চল আছে ইরাক ও সৌদি আরবে। এটি ‘ক্লাইচা’ নামে পরিচিত। এটিকে ইরাক ও সৌদি আরবের জাতীয় বিস্কুট বলা হয়ে থাকে। 

এই খাবারই অবশ্য দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন—সিরিয়ায় এর নাম মামুল এবং মিসরে কাহাক। 

ইয়েমেন
ইয়েমেনেও ঈদে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রচলন আছে, যা ‘হানি কেক’ নামে পরিচিত। কেকের ওপরে কালোজিরা ছিটানো থাকে। 

ঈদের আয়োজনের সঙ্গে মিষ্টান্নজাতীয় খাবার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেরাশিয়া
রাশিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ মুসলিম। ঈদের দিনে তারা ‘মানতি’ নামের একধরনের খাবার খেয়ে থাকে। এটি এক ধরনের পুলি পিঠা। উপকরণ আটা ও মাংসের কিমা। এটি মাখন ও টক স্বাদের ক্রিম দিয়ে পরিবেশন করা হয়। তবে রাশিয়ায় অঞ্চলভেদে মানতির রেসিপি একেক রকম হয়ে থাকে। 

চীন
চীনে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখের মতো মুসলিমের বসবাস। ঈদে তাদের কাছে জনপ্রিয় খাবার ‘শানজি’। এটির উপকরণ নুডলস ও চর্বি। মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কাছে এই খাবার খুবই জনপ্রিয়। ঈদের আগে এখানকার দোকানগুলোতে ঢুকলেই শানজির দেখা মেলে। 

ইন্দোনেশিয়া
ঈদ উদ্‌যাপনের প্রধান একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো ‘কেটুপাট’। এটি পামগাছের পাতায় মোড়া একধরনের চালের আটার পিঠা। 

তথ্যসূত্র: বিবিসি

ঈদে ঘুরে আসুন গাজীপুর সাফারি পার্ক

জেদ্দার আল-বালাদ: ইতিহাসের শহরে একদিন

বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলছে উত্তর কোরিয়া

এশিয়ার জেন-জির ভ্রমণপ্রবণতা

মুড়িমাখায় জিলাপিই শুধু নয়, বাংলার রসনাবিলাসে টক–ঝাল–মিষ্টির মিশেল পুরোনো ঐতিহ্য

ভালো খেজুর কেনার আগে যা দেখবেন

মা হচ্ছেন কিয়ারা, যেভাবে নিচ্ছেন ত্বকের যত্ন

ব্লাশনে বেজ রঙের রাজত্ব

ইফতারি তৈরি হবে কম তেলে

ঝটপট ঘর গোছাবেন যেভাবে