অনলাইন ডেস্ক
আজ সুখ দিবস। ২০১২ সালে, ২০ মার্চ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ। এরপর থেকে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী উদ্যাপিত হচ্ছে দিবসটি। যদিও সুখ বিষয় এবং ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। সুখ বলতে সাধারণত আত্মতৃপ্তি, আনন্দ ও পূর্ণতার অবস্থাকে বোঝায়।
মনোবিজ্ঞানের ভাষায়, সুখ হলো একটি মানবিক অনুভূতি। অর্থাৎ মনের অবস্থা বা অনুভূতি যখন ভালোবাসা, তৃপ্তি, আনন্দ বা উচ্ছ্বাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এবারের আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে ‘প্রাণোচ্ছল থাকুন, কৃতজ্ঞ থাকুন ও দয়ালু হোন।’ আপনি যদি সুখী হতে চান, তাহলে কৃতজ্ঞ হতে শুরু করুন, পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটান এবং প্রিয়জনকে সুখী রাখার চেষ্টা করুন।
প্রিয়জনকে সুখী করতে পারে এমন ৫ পরামর্শ—
কাউকে খুশি করার সেরা উপায় হলো তার পছন্দের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা। প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে সুখ দিবসে এটি হতে পারে দারুণ টোটকা।
চিঠি লেখা
কাউকে খুশি করতে এবং তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য একটি চিঠি হতে পারে কার্যকর উপায়। যদিও এটি বেশ পুরোনো প্রথা। তবে এখনো কাউকে মনের কথা চিঠির মাধ্যমে লিখে পাঠালে অজান্তেই হাসির রেখা ফুটবে মুখে।
আপনি প্রিয় মানুষটির সম্পর্কে কেমন অনুভব করেন এবং তাদের সম্পর্কে কতটা যত্নশীল তা প্রকাশ করার জন্য গান শেয়ার করতে পারেন। হয়তো ওই গানটি শুনেই তার মধ্যে সুখ অনুভূত হলো।
আলিঙ্গন আন্তরিকতার সেরা প্রকাশ। মনোবিদদের মতে, আলিঙ্গন অনেক সময় ওষুধের মতো কাজ করে। কাছের মানুষের একটুখানি আলিঙ্গন আপনাকে হয়তো সমস্ত উদ্বেগ, বিষণ্নতা ভুলে যেতে এবং সুখী বোধ করতে সাহায্য করবে।
কারও দিনটি ভালো করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো, উপহার হিসেবে ফুল দেওয়া। কিছু রঙিন ফুল বেছে নিন এবং একটি তোড়া তৈরি করে উপহার দিন। প্রিয়জনকে সুখী করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এটি।
কারও মুখে হাসি ফোটানোর মতো সুন্দর এবং মহৎ বিষয় আর দ্বিতীয়টি নেই। আজ আন্তর্জাতিক সুখ দিবসে, প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটানোর সুযোগটি মিস না করে ওপরের পরামর্শগুলো বিবেচনা করতে পারেন। তাদের বোঝান যে, আপনি তাদের প্রতি কতটা যত্নশীল।
আরও খবর পড়ুন: