লাইফস্টাইল ডেস্ক
রং ও ঐতিহ্যের মিশ্রণে হরিতকী
বর্ষবরণের এই উৎসবে ঐতিহ্য ও থিমভিত্তিক নকশা করে হরিতকী। রাজদরবার, রাজবহর, রিকশাচিত্র, কুলাচিত্র, গ্রামবাংলার দৃশ্য, ট্রাইবাল আর্ট, বিখ্যাত পেইন্টিং ইত্যাদি থিমে তৈরি হয়েছে বৈশাখ সংগ্রহের নকশা উপাদান।
‘ক্রেতা যেন নিজের পোশাক কাস্টমাইজ করতে পারেন, সে জন্য আনস্টিচ কামিজ, স্কার্ট, গজ কাপড় নেওয়ার ব্যবস্থাও রেখেছি।’
বলরাম পাল, প্রধান কার্যনির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা, হরিতকী
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে অবস্থিত আর্য্যেশ্বরী বুটিকস পেরাবাহ বিজু উৎসবকে কেন্দ্র করে আদিবাসী পোশাকে নতুনত্ব এনেছে। পোশাকে হলুদ, নীল, লাল, কমলা, ম্যাজেন্টা, বাঙ্গি, লেমন, সাদা রংকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পিনোন হাদি, নানা প্যাটার্নের ইয়ক বসানো সালোয়ার-কামিজ, হাতে কাজ করা লেহেঙ্গা, ওয়েস্টার্ন টপস, স্কার্ট টপস, শাড়ি, ইয়ক পাঞ্জাবি, ধুতি, ফতুয়া, তাঁতে বোনা কাপড়ের কুর্তিসহ কিছুটা ওয়েস্টার্ন হিপহপ টাইপের পোশাক রয়েছে। পোশাকগুলো পেতে ভিজিট করতে হবে নিজস্ব পেইজে বা আউটলেটে।
সৌম্য চাকমা, কর্ণধার ও ফ্যাশন এন্ট্রাপ্রেনিউর, আর্য্যেশ্বরী বুটিকস পেরাবাহ
কাপড়ের ওপর হাতে সেলাই করে নকশা করে গয়না তৈরি হয় টেনটেরালীতে। অ্যাপ্লিক বা কাঁথা স্টিচ করার পর বসিয়ে নেওয়া হয় পুঁতি, কড়ি বা কাপড় দিয়ে বানানো পুঁতি। সেখানেও কাপড়ের গয়নার ওপর থাকে আঁকিবুঁকি। পয়লা বৈশাখের জন্য লাল, সাদা মুখ্য রেখে আরও নানান রঙের গয়না তৈরি করেছেন পৃথ্বীষা। ‘টেনটেরালী’ পেজে গিয়ে অর্ডার করলে বাড়িতে বসেই পাওয়া যাবে পছন্দের কাপড়ের গয়না। কানের দুল ৫৫০, গলার হার ও মালার দাম ১০০০, ১২০০, ১৭৫০ বা ২০০০ টাকার মধ্যে।
পৃথ্বীষা বৈদ্য, স্বত্বাধিকারী, টেনটেরালী
এবারের পয়লা বৈশাখকে উপলক্ষ করে ঐতিহ্যবাহী ও সমকালীন শিল্পকেন্দ্র যথাশিল্প বেশ কিছু শাড়ি ও পাঞ্জাবি ডিজাইন করেছে। এর বাইরেও অন্দরসজ্জার জন্য কিছু কুশন কভার ও টেবিল রানার তৈরি করেছে।
শাওন আকন্দ, পরিচালক, যথাশিল্প