এক্সজস্ট ফ্যান ভেতরের আর্দ্র বাতাস টেনে বাইরে বের করে দেয়। বারবার ব্যবহার করার ফলে বাথরুমে তৈরি হওয়া দুর্গন্ধ দূর করতে বাথরুমে এ ধরনের ফ্যানের বিকল্প নেই। ফলে বাথরুমের ফ্যানটি যেন দীর্ঘদিন ঠিকঠাক সেবা দিতে পারে তার জন্য চাই কিছু যত্নআত্তি।
বছরে তিন থেকে চার বার এক্সজস্ট ফ্যানের কভার এবং মোটরের ওপর জমা ধুলোবালি পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। এটি পরিষ্কার করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। আবার পরিষ্কার করার জন্য খুব বেশি উপকরণ বা সরঞ্জামেরও প্রয়োজন নেই।
- প্রথমে বাথরুমের ব্রেকার বন্ধ করে নিতে হবে।
- পাওয়ার বন্ধ আছে তা নিশ্চিত করে কাজ শুরু করতে হবে।
- একটি স্পঞ্জ বা শুকনো কাপড় নিয়ে বাথরুমের ফ্যানের বাইরের অংশটিতে জমে থাকা ধুলোবালি ঝেড়েমুছে নিন।
- আপনার বাথরুমে কোনো জানালা না থাকলে টর্চলাইট সঙ্গে রাখুন।
- আলতো করে বাথরুমের এক্সজস্ট বা নিষ্কাশন ফ্যানের কভারটি টানুন। অনেক ফ্যানের পাশে কিছু পিন বা স্ক্রু থাকে। ফলে কভারটি খোলার জন্য একটি স্ক্রু ড্রাইভার হাতে রাখুন।
- যদি আপনার নিষ্কাশন ফ্যানটি একটি আউটলেটে প্লাগ করা থাকে, তবে এটিকে আনপ্লাগ করুন এবং এটির জায়গায় থাকা যেকোনো বন্ধনী খুলে ফেলুন।
- বাথরুম নিষ্কাশন ফ্যান তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত। কভার, ফ্যানের ব্লেড এবং মোটর। বিপজ্জনক বিল্ডআপ প্রতিরোধ করতে, প্রতিটি আইটেম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ।
- এবার এক্সজস্ট ফ্যানের ভেন্ট কভার পরিষ্কার করুন। এ ফ্যানের ব্লেড পরিষ্কার করার সময় গরম সাবান–পানির টবে ভেন্ট কভারটি ভিজিয়ে রাখুন। পুনরায় লাগিয়ে নেওয়ার আগে ভেন্ট কভারটি সম্পূর্ণভাবে বাতাসে শুকিয়ে নিন।
- একটি ভেজা কাপড় ব্যবহার করে ফ্যানের ব্লেড ও মোটর পরিষ্কার করুন। সম্ভব হলে একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারও ব্যবহার করতে পারেন ধুলো দূর করতে। আবার যদি সিলিং থেকে ফ্যানটি খুলতে না পারেন যতটা সম্ভব ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন সেটি।
- এ ভাবে ধুলো ময়লা পরিষ্কার হয়ে গেলে কভারটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার পরে বাথরুমের এক্সজস্ট ফ্যানে সেট করে নিন। এবার দেখে নিন সবগুলো স্ক্রু ঠিকঠাক লাগানো হয়েছে কিনা। ব্রেকার ও পাওয়ারটি আবার চালু করে পরীক্ষা করে নিন ঠিকঠাক চলছে কিনা।