হোম > জীবনধারা > সাজসজ্জা

এই সময় দাওয়াতের পোশাক

ফিচার ডেস্ক  

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮: ২৯
ছবি: ওয়্যার হাউস

চলছে শীতকাল এবং বিয়ের মৌসুম। অনেককে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। ফলে শীতকাল কেবল উষ্ণতা ধরে রাখার জন্যই নয়, স্টাইল প্রকাশেরও দারুণ সুযোগ। এ সময় দাওয়াত কিংবা অনুষ্ঠানে মেয়েরা সহজে আরাম ও ফ্যাশনের মিশ্রণে সেরা লুক পেতে পারেন। হালকা ঠান্ডা থেকে তীব্র শীত—যেকোনো পরিবেশে ফ্যাশনসচেতন মেয়েদের জন্য রয়েছে পোশাক নির্বাচনের সুযোগ। কিন্তু শুধু পোশাক নির্বাচন করলেই তো আর হয় না; ঋতুর সঙ্গে মানিয়ে চলা আর পোশাকের মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলাও জানা জরুরি। কী করবেন, ভাবছেন? জেনে নিন।

শাড়ি

শাড়ি সব সময় এ দেশের প্রধান পছন্দের পোশাক। ঐতিহ্যবাহী এই পোশাক শীতকালে পরার ক্ষেত্রে কিছু নতুন উপাদান যোগ করা যেতে পারে। ফলে শাড়ি শীত নিবারণ করে আরামদায়ক হয়ে উঠবে।

সব শাড়ি নয়: শীতে সব ধরনের শাড়ি না পরে কাতান, সিল্ক বা ভেলভেটের শাড়ি নির্বাচন করুন। এসব শাড়ি কিছুটা মোটা হওয়ায় এ সময় দারুণ আরামদায়ক। এগুলো উষ্ণতা বজায় রেখে চমৎকার লুক দেয়। দিনের বেলা দাওয়াত হলে উজ্জ্বল রঙের আর দাওয়াত রাতে হলে একটু গাঢ় রঙের শাড়ি পরতে পারেন।

ব্লাউজে বৈচিত্র্য: এ সময় হাফহাতা বা স্লিভলেস ব্লাউজ না পরে ফুলহাতা বা হাই-নেক ডিজাইনের ব্লাউজ পরুন। এতে শীত থেকে সুরক্ষা মিলবে।

শাল: শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে শাল ব্যবহার করুন। এটি ক্ল্যাসিক লুক দেবে। সঙ্গে শীতের বাতাস

প্রতিহত করে আপনাকে রাখবে উষ্ণ।

গাউন

শীতের রাতে দাওয়াতে গাউন হতে পারে আদর্শ পোশাক। তবে এ পোশাক পরার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।

ভেলভেট গাউন: ভেলভেটের তৈরি গাউন শীতকালে ব্যাপক জনপ্রিয়। এটির ফ্যাব্রিকস

ভারী হওয়ায় ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা দেবে। সঙ্গে আকর্ষণীয় লুকও।

লং স্লিভ গাউন: লম্বা হাতা ও গলা ঢাকা ডিজাইনের গাউন দাওয়াতের জন্য উপযুক্ত

এবং শীতে উপযোগী।

অ্যাকসেসরিজ: হালকা নেকলেস ও ম্যাচিং কানের দুল আপনার গাউন লুককে বিশেষভাবে ফুটিয়ে তুলবে।

সালোয়ার-কামিজ ও লেহেঙ্গা

দাওয়াতে সালোয়ার-কামিজ বা লেহেঙ্গার কদরও পুরোনো। শীতকালে এগুলোকে স্টাইলিশ এবং আরামদায়ক করে তোলা যায়।

ফ্যাব্রিক: সাটিন, সিল্ক বা ভেলভেটের সালোয়ার-কামিজ শীতের রাতে আরাম দেয়।

লেয়ারিং: লেহেঙ্গার সঙ্গে লং জ্যাকেট বা শালের ব্যবহার আপনাকে ফ্যাশনেবল করে তুলবে।

সেই সঙ্গে রাখবে উষ্ণ।

ওয়েস্টার্ন আউটফিট

দাওয়াতে নিজেকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চাইলে বেছে নিতে পারেন ওয়েস্টার্ন পোশাক। এগুলো বেশ স্টাইলিশও বটে।

মিডি বা ম্যাক্সি ড্রেস: লং স্লিভ ম্যাক্সি ড্রেস বা মিডি ড্রেস শীতকালে মানানসই।

ওভারকোট ও ব্লেজার: ওভারকোট বা ব্লেজার পরতে পারেন দাওয়াতে। এগুলো শুধু শীত প্রতিরোধই করে না; বরং লুকেও যোগ করে স্মার্টনেস।

লং বুট ও স্কার্ফ: পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গে লং বুট ও স্কার্ফ যোগ করলে পুরো লুক আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। আর এটা তো জানা কথাই, শীত থেকে রক্ষা পেতে পা ঢাকার কোনো বিকল্প নেই।

শীতকালীন অ্যাকসেসরিজ

পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যাকসেসরিজ পুরো লুককে উজ্জ্বল করে তোলে।

শাল ও স্কার্ফ: পশমের কিংবা কাশ্মীরি শাল দাওয়াতের লুককে আকর্ষণীয় করে তোলে। সেই সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন আকর্ষণীয় স্কার্ফ। এগুলো রাতে শিশির ও ধুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করবে।

গ্লাভস ও ক্যাপ: ফ্যাশনেবল গ্লাভস ও ক্যাপ আপনাকে উষ্ণ রাখবে। পোশাকের সঙ্গে মানানসই গ্লাভস পরুন।

গয়না: এমনিতে এখন ভারী গয়না পরার চল তেমন নেই বললেই চলে। তাই হালকা ও দৃষ্টিনন্দন গয়না ব্যবহার করুন। সব সময় যে সোনা, হীরা বা রুপার গয়না পরতে হবে, তা কিন্তু নয়। মাটি, কাঠ, সি-শেল ইত্যাদির দৃষ্টিনন্দন ও পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়না ব্যবহার করতে পারেন।

রঙের ব্যবহার

শীতকালে রঙের ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রাতের দাওয়াতে উষ্ণ রঙের পোশাক পরুন। এ ক্ষেত্রে মেরুন, বটল গ্রিন, নেভি ব্লু বা সোনালি রঙের পোশাক ব্যবহার করতে পারেন। দিনের দাওয়াতে হালকা রঙের পোশাক ব্যবহার করুন।

শীতকালীন দাওয়াতে স্টাইল বজায় রেখে পোশাক নির্বাচন করা শুধু ফ্যাশনের বিষয় নয়; এটি আরাম

আর আত্মবিশ্বাসেরও ব্যাপার। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে সাজানো পোশাক, সঠিক ফ্যাশন অনুষঙ্গ বা অ্যাকসেসরিজের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার শীতকালীন দাওয়াতে আপনাকে আলাদা করে তুলতে পারে।

নতুন বছরে যেমন নেইলপলিশ

চুল থাকুক যত্নে

সংবেদনশীল ত্বকের যত্নে

নতুন বছরে ত্বকের যত্নে নতুন উপকরণ