Ajker Patrika
হোম > জীবনধারা > ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস মাতাচ্ছে টঙের গান

কে এম হিমেল আহমেদ

ক্যাম্পাস মাতাচ্ছে  টঙের গান

সন্ধ্যা নামার সময় এই ক্যাম্পাসের দেয়ালে দেয়ালে ঘুরে বেড়ায় সুরের লহরি। উকুলেলে, ঢোল, দফ, বাঁশির অর্কেস্ট্রা উদ্বেলিত করে তোলে এই ক্যাম্পাসের অণু-পরমাণুকে।

ক্যাম্পাসটি যে খুব বড়, সে কথা বলা যাবে না। আবার খুব ছোটও নয়। তবে নতুন। এই ক্যাম্পাসে প্রচুর গাছ যেমন ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছে, তেমনি বড় হয়ে উঠছে এখানে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্বপ্ন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এক পাল স্বপ্নবাজ তরুণ একদিন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন একটি গানের দলের। সেটি এখন ডালপালা মেলে সৌরভ ছড়াতে শুরু করেছে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরেও।

ক্যাফেটেরিয়া মঞ্চের এক কোণে, হল কিংবা মাঠের শিশুগাছতলায়, একাডেমিক ভবনের সিঁড়িতে কিংবা ক্যাম্পাসের ছোটখাটো অনুষ্ঠানগুলোতে গান করতে করতেই গড়ে ওঠে এই গানের দল। অল্পদিনেই সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে তাদের গান। গানের মাধ্যমে সম্প্রীতি ছড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য দলটির।

সম্প্রতি টঙের গান ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ নামক আইডিয়া শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে ‘গানের মাধ্যমে সম্প্রীতি ছড়াই’ শীর্ষক আইডিয়া শেয়ার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। 
এ ছাড়া ঢাকায় ইউএনডিপির একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিল টঙের গান।

যথেষ্ট বাদ্যযন্ত্র নেই, অনুশীলনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের নিচেই চলে প্রতিদিনের অনুশীলন পর্ব। পরীক্ষা বা অন্য কোনো কারণে বন্ধ রাখতে হয় অনুশীলন। তারপরও ব্যান্ডটির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন গানপাগল কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে আছেন গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্রশিল্পী আয়ুব আলী, গীতিকার সাজু বাঙালি, আলিফ ও ফরিদ। টঙের গানের লিড ভোকালিস্ট আবীর। তিনি উকুলেলেও বাজান। এ ছাড়া দফ বাজান শাকিল, বাংলা ঢোল ফুয়াদ, বাঁশি দিপু, মেলোডিকা প্রিতম এবং কাহন বাজান মুবিন। দলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন নাজমুল হুদা নিমু।

টঙের গানের দল নিয়ে কথা হয় দলটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপক নাজমুল হুদা নিমুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘টঙের দোকানে চা খাওয়ার সময় উঁচু-নিচু, ধনী-গরিব, সাদা-কালো সবাই সমান। টঙের গান নামটির মাঝেই সম্প্রীতির উল্লেখ রয়েছে। আমরা গানের মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে যাচ্ছি।’

টঙের গানের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান আবীর বলেন, ‘আমাদের শুরুটা একেবারেই সাদামাটা হলেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যান্ডটি এখন বেশ পরিচিত। করোনাকালে টঙের গান নিয়ে আমার মাথায় চিন্তাভাবনা আসে। বন্ধুদের উৎসাহ পেয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে গান করি আর নিজ ফেসবুকে প্রচার করতে থাকি।

এখন আমাদের একটি পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, সেখানে আমাদের দর্শকদের সঙ্গে আমরা সরাসরি যুক্ত রয়েছি।’

টঙের গান লোকসংগীতনির্ভর একটি গানের দল। দলটির জন্ম ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক হলেও এর প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্যরা একে ছড়িয়ে দিতে চান পুরো দেশে। সে জন্য দলটি এখন রংপুরের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে। 

কে এম হিমেল আহমেদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

জবিতে রমজানে ক্লাস অনলাইনে, পরীক্ষা সশরীরে

আইইউটির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, ডিগ্রির সীমানা পেরিয়ে সম্ভাবনার পথে

কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশের উজ্জ্বল মুখ

পাবিপ্রবিতে বসন্তের ছোঁয়া

বাকৃবি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসফর

বুয়েট ক্যাম্পাসে হুয়াওয়ের রিক্রুটমেন্ট কর্মসূচির আয়োজন

ঝিনাইদহে স্কুলশিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত হলো ‘রেক্সল’ হাত ধোয়া কর্মসূচি

গাকৃবিতে সিড টেকনোলজির সার্টিফিকেট প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ৭ম সমাবর্তন ২০২৫ সম্পন্ন, স্বর্ণপদক পেলেন ১৯ শিক্ষার্থী