চুল ধীরে ধীরে আরও পাতলা হয়ে যাওয়াকে বলে হেয়ার থিনিং। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এগুলোর মধ্যে আছে জিনগত কারণ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ, খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবারের অভাব, চিকিৎসা বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। চুল যদি বেশি পড়তে থাকে, চুলের টেক্সচারে পরিবর্তন হয় বা মাথার ত্বক আরও দৃশ্যমান হয়ে উঠতে থাকে, তবে এটি হেয়ার থিনিংয়ের পর্যায়ে পড়তে পারে।
এই অবস্থার মোকাবিলা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। যা করতে পারেন—
» চুল পর্যাপ্ত ভিটামিন এবং খনিজ পাচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে আয়রন, ভিটামিন ডি, বায়োটিন ও জিংক।
» পার্ম, ডাই ও রিল্যাক্সারের মতো রাসায়নিক চিকিৎসা কম করাতে হবে। এগুলো চুল দুর্বল করে দেয়।
» হালকা এবং সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
» চুলে তাপ দিয়ে স্টাইল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অথবা স্টাইল করার সময় যন্ত্রের তাপে চুলের ক্ষতি কম হয়, সে রকম প্রোটেকট্যান্ট ব্যবহার করতে হবে।
» দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপে চুল পড়তে পারে। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপের স্তর কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাতে চুল থাকবে স্বাস্থ্যকর।
» মাথার ত্বকে মৃদু ম্যাসাজ রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। এটি চুল বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
» চুলে চাপ কমানোর জন্য টান টান করে অনেকে চুল বাঁধেন। কোনোভাবেই এটি করা ঠিক হবে না।