Ajker Patrika
হোম > জীবনধারা > রূপবটিকা

কিশোরীদের ত্বকযত্নে ক্ষতিকর উপাদানগুলো

ফিচার ডেস্ক

কিশোরীদের ত্বকযত্নে ক্ষতিকর উপাদানগুলো

ত্বকযত্নের রুটিন শুধু ২০ বছর বয়সের ওপরের নারীদের জন্য নয়। কিশোরীদেরও অনুসরণ করা জরুরি। বয়ঃসন্ধিকালে উল্লেখযোগ্যভাবে নারীদের হরমোনগত পরিবর্তন হয়, যা ত্বকের ওপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। এ বয়সে কিশোরীদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি প্রতিরোধ করতে হয়। ফলে কিশোরীদের ত্বকের যত্নে এমন উপাদান দিয়ে তৈরি পণ্য ব্যবহার  হবে, যেগুলো তাদের ত্বকের ক্ষতি করবে না।

যে উপাদানসমৃদ্ধ পণ্য এড়িয়ে চলবেন

কৃত্রিম সুগন্ধি
কৃত্রিম সুগন্ধি বা ফ্র্যাসরেন্স প্রায়ই ময়শ্চারাইজার বা ক্লিনজারে যোগ করা হয়। কৃত্রিম সুগন্ধিযুক্ত সৌন্দর্য প্রদানকারী উপাদানগুলো যোগাযোগজনিত অ্যালার্জির অন্যতম কারণ। এগুলো কিশোরীদের সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালার্জি বা জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।

প্যারাবেন
প্যারাবেন সাধারণত ক্রিম এবং মেকআপে সংরক্ষণকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে থাকা উপস্থিত এন্ডোক্রাইন-বিঘ্নকারী রাসায়নিক থাইরয়েডের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি মেয়েদের শরীরে হরমোনগত সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই কিশোরীদের ত্বকের যত্নে প্যারাবেন দিয়ে তৈরি পণ্য এড়িয়ে চলা ভালো।

সালফেট
ক্লিনজারে পরিষ্কারক এবং ফোমিং বৈশিষ্ট্যের জন্য সালফেট ব্যবহার করা হয়। সালফেটে সমৃদ্ধ ক্লিনজার ব্যবহার করলে ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে তেল উৎপন্ন বন্ধ এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে জ্বালা করতে পারে।

রেটিনয়েড
রেটিনয়েডের বলিরেখা দূর করার বৈশিষ্ট্য আছে, যা ত্বকের উপরিভাগের প্রতিরক্ষামূলক কার্যকারিতা বাড়ায় এবং কোলাজেনের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। তরুণ বা যুবকদের ত্বকের জন্য অ্যান্টি-এজিং উপাদানসমৃদ্ধ ত্বকযত্নের পণ্য দরকার। তাঁদের ত্বকের জন্য রেটিনয়েড ভালো। কিন্তু এর ব্যবহারে কিশোরীদের ত্বক ছিলে যেতে পারে। এটি সূর্যের প্রতি কিশোরী ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে।

হাইড্রোকুইনোন
হাইড্রোকুইনোন ত্বকের রং পরিবর্তন প্রতিরোধে সাহায্য করে। ক্রিমজাতীয় পণ্যে এটি ত্বক উজ্জ্বলকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিছুটা বয়স্ক ত্বকের জন্য কার্যকরী হলেও ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ ছাড়া ত্বকের যত্নে হাইড্রোকুইনোনে যুক্ত পণ্য কিশোরীদের ব্যবহার করা উচিত নয়। 

গ্লাইকোলিক অ্যাসিড
গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্রণ, ত্বকের রং পরিবর্তন এবং বার্ধক্যের লক্ষণ দূর করার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই আলফা-হাইড্রোক্সি অ্যাসিড ত্বকের মৃতকোষ সরিয়ে উজ্জ্বল করে। এ উপাদানে তৈরি পণ্য বয়স্ক ত্বকের জন্য উপকারী হলেও কিশোরীদের সংবেদনশীল ও বিকাশমান ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। এটি ত্বকে জ্বালা, লালচে ভাব এবং ত্বক ছিলে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। গ্লাইকোলিক অ্যাসিডে তৈরি পণ্য ব্রণ বা ত্বকের তৈলাক্ততার মতো কিশোরীদের ত্বকের সাধারণ সমস্যাগুলোকে আরও খারাপ করতে পারে।

এসব উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্নে তৈরি ট্রেন্ডি পণ্য এড়িয়ে চলতে হবে কিশোরীদের। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, স্যালিসিলিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড, অ্যালোভেরা এবং ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য স্যালিসিলিক অ্যাসিডের মতো প্রমাণিত উপাদানযুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে হবে।

সূত্র: হেলথ শর্টস

রোজার দিনগুলোয় ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে যা করবেন

নাশতায় বেঁচে যাওয়া ফল দিয়ে রূপচর্চা

নখ ভালো রাখতে নেইল সেরাম ব্যবহার করুন

ত্বক ভালো রাখবে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ প্য়াক

লেজার থেরাপিতে অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়

প্রোটিন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন প্রতিদিন

ব্রণমুক্ত ত্বক পেতে কী খাবেন, কী খাবেন না

শুষ্ক-তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে যা করতে পারেন

ধীরে ধীরে পড়ে যাচ্ছে চুল

রুক্ষ ত্বকের যত্নে যা করবেন