চলমান বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ইটাব। দেশের ভেতর বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর পরিচালনা করা ১১০টি প্রতিষ্ঠানের প্ল্যাটফর্ম এটি। খাগড়াছড়িতে ত্রাণ কার্যক্রম শেষ হলেও কুমিল্লার বেশ কিছু জায়গায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম সচল রেখেছে ইটাব।
বন্যার শুরুর দিকে খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকায় নিজেদের স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে ইটাব। সেখানে রান্না করা ও শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং জরুরি ওষুধ সরবরাহ করে সংগঠনটি।
কুমিল্লার বুড়িচং, লাকসামসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে পানিতে আটকে পড়া মানুষের উদ্ধার তৎপরতা চালায় ইটাব। এ ছাড়া সেখানে নিয়মিত দুই দফা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সংগঠনটি। বর্তমানে সেখানে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে প্রতিদিন শত শত মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। ইটাবের এক সদস্য জানিয়েছেন, যত দিন প্রয়োজন হবে, ত্রাণ তৎপরতা জারি থাকবে।
ইটাবের প্রেসিডেন্ট ইমরানুল আলম বলেছেন, ‘তরুণদের কল্যাণে যেমন আমরা বাংলাদেশকে নতুন রূপে পেয়েছি, আবার ভয়াল বন্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছি এই তরুণদেরই। একইভাবে তারুণ্য নির্ভর ইটাবের সদস্যরাও এই ক্রান্তিলগ্নে এগিয়ে গেছেন উদ্ধার এবং ত্রাণকার্যে।’
ইটাবের এই ত্রাণ কার্যক্রমে সদস্যদের পাশে ছিলেন সংগঠনটির শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তাঁরা অর্থ ও জরুরি সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেন। পাশে থাকার জন্য ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।