রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি
কুষ্টিয়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ গ্রামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। বাগান, পুকুর, মূল ভবনসহ এই কুঠিবাড়িতে আছে ১৮টি কক্ষ। এই কক্ষগুলোয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহার্য অনেক জিনিসপত্র রাখা আছে। এখানে প্রতিবছরের ২৫ বৈশাখে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়। গ্রীষ্মকালে এটি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সাপ্তাহিক বন্ধ রোববার। প্রবেশমূল্য সাধারণভাবে ২০ টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের জন্য ১০০ টাকা। কুঠিবাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে রবীন্দ্রনাথের কাছারিবাড়ি। কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর থেকে রিকশায় কুঠিবাড়ি যেতে জনপ্রতি ৫০ এবং রিজার্ভ ভাড়া ৩০০ টাকা।
লালন শাহের মাজার
বাউলসাধক লালন শাহের মাজারটি কুমারখালী উপজেলায় হলেও কুষ্টিয়া শহরের কাছেই অবস্থিত। এখানে রয়েছে লালন শাহ ও তাঁর শিষ্যদের সমাধি। প্রতিবছর দোলপূর্ণিমা এবং কার্তিক মাসের ১ তারিখে এখানে মেলা বসে।
কুষ্টিয়ার মজমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র ২০ মিনিটে লালন শাহের মাজারে যাওয়া যায়। রিকশাভাড়া জনপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা।
মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা
‘বিষাদ সিন্ধু’র রচয়িতা বিখ্যাত ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের বাড়ি কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়ায়। এখানে আছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি লাইব্রেরি, জাদুঘর ও অডিটরিয়াম। কুষ্টিয়া শহর থেকে রিকশায় যাওয়া যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা।
শিলাইদহ কুঠিবাড়ির কাছে এই পার্ক। শিক্ষানুরাগী আলাউদ্দিন আহমেদ এটি নির্মাণ করেন। এখানে আছে বিভিন্ন রকমের রাইড, কমিউনিটি সেন্টার, রেস্তোরাঁ ও থাকার ব্যবস্থা। কুষ্টিয়া শহর থেকে রিকশায় যাওয়া যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা।
ইউটিউব ভিলেজ
ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাণের জন্য বিখ্যাত খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের নাম এখন হয়ে গেছে ইউটিউব ভিলেজ। ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা অর্থ দিয়ে এই গ্রামের সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধন এবং বিনোদনের জন্য তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ইউটিউব পার্ক।
কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ের বাস টার্মিনাল অথবা মোল্লাতেঘরিয়া থেকে খোকসাগামী বাসে উঠে যেতে হবে খোকসা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। সেখানে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতে হবে ইউটিউব ভিলেজ। সব মিলিয়ে ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১০০ টাকা। এখানে প্রবেশের মূল্য ১৫ থেকে ২০ টাকা। ইউটিউব ভিলেজে রাতে থাকার ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার মধ্যে ফিরতে হবে কুষ্টিয়া শহরে।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে যেতে হবে কুষ্টিয়া শহরে। সেখান থেকে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে যেতে হবে। ঢাকা থেকে ট্রেন ও বাসে যাওয়া যায়। নন-এসি বাসের ভাড়া ৬০০ এবং এসি বাসের ভাড়া ৯০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা। এ ছাড়া সুন্দরবন, বেনাপোল ও মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেনে কুষ্টিয়ায় যাওয়া যায়। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাড়ে সকালে, মধুমতী এক্সপ্রেস বিকেলে এবং রাতে ছাড়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস। ভাড়া শোভন চেয়ার ৪৫০, এসি ৭০০ আর কেবিন ১ হাজার ৮০ টাকা।
কোথায় থাকবেন
কুষ্টিয়ায় থাকার জন্য আছে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল। এসব হোটেলে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় থাকা যাবে।