সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ভিড় বরাবরই একটু বেশি থাকে। পর্যটকদের চাপ কমাতে এ বছর থেকে বাংলাদেশের একমাত্র রেইন ফরেস্টে যুক্ত হচ্ছে আরও চারটি ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। সেগুলো হলো শেখেরটেক ও কালাবগি, পূর্ব বন বিভাগের আওতাধীন শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক।
শেখেরটেক এলাকায় দেখা যাবে গহিন বনের ভেতরে থাকা ৩৫০ বছরের পুরোনো মন্দির। এলাকাটি ‘বাঘের বাড়ি’ নামে পরিচিত। এ বছর ডিসেম্বর থেকে ঘুরে দেখা যাবে শেখেরটেক মন্দির।
পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের আওতায় তৈরি হয়েছে কালাবগি ইকো-টুরিজম কেন্দ্র। বন্য প্রাণী আর নানান বৃক্ষরাজির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধুনিক পদ্ধতিতে নির্মিত পন্টুন, ওয়াচ টাওয়ারসহ আরও অনেক মনোমুগ্ধকর স্থাপনা।
কালাবগি ও আন্ধারমানিক কেন্দ্র দুটির মধ্যে আন্ধারমানিক কেন্দ্রটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এ বছর। অন্য দুটি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে মনে করছে বন বিভাগ। বিপজ্জনক বলে আগে নিষিদ্ধ ছিল আন্ধারমানিক ভবন। পর্যটকেরা তবু সেখানে ঘোরার ব্যাপারে আগ্রহী বলেই সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রটি।