স্লিপিং সিস্টেম থাকার পরেও বিমানে ঘুম ভালো হবে না, এটাই স্বাভাবিক। কারণ, বিমানগুলো ভালো ঘুমের জন্য ডিজাইন করা হয়নি। তবে ঘুমের কারণে বিমানযাত্রা বিরক্তিকর হয়ে গেলে গন্তব্যে পৌঁছে বাকি সময়টা খারাপই যাবে। তাই খুব ভালো না হলেও মোটামুটি মুড ভালো থাকবে, এমন ঘুমের কৌশল জেনে নিয়ে বিমানে ওঠা ভালো।
যেকোনো ফ্লাইটে কফি বা অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন। এমনকি বিনা মূল্যে দিলেও এড়িয়ে চলতে হবে। অ্যালকোহল ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে হলেও এর কারণে গভীর ঘুম হবে না। বারবার জেগে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে।
প্রশান্তির ঘুমের জন্য বিমানের সামনে বা পেছনের সিট এড়িয়ে চলা ভালো। এগুলো বিমানের ব্যস্ততম এলাকা। তাই সেখানে সব সময় একটা গোলমেলে পরিবেশ থাকে। ঘুমের প্রয়োজন হলে বিমানে বসার সবচেয়ে ভালো জায়গা এর মাঝামাঝি সিটগুলো।
বিমানে ভালো ঘুম পেতে হলে জানতে হবে, আপনি কোন অবস্থানে ঘুমাতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেন। বিমানের দেয়ালে মাথা রেখে নাকি অন্য কোনোভাবে সবচেয়ে ভালো ঘুম হবে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে আপনাকে। অনলাইনে আসন বাছাই করার সময় সে হিসেবে সিট বুকিং করতে পারেন।
মাথা, ঘাড় ও কাঁধের ব্যথা এড়াতে ঘাড় বালিশ বা নেক পিলো ব্যবহার করা যেতে পারে। নিজের সঙ্গে বাড়তি জিনিস বহন করা বিরক্তিকর হলেও আরামের ঘুমের জন্য নেক পিলো ব্যবহার করা যেতে পারে।