Ajker Patrika
হোম > জীবনধারা > ভ্রমণ

ভ্রমণের রোমাঞ্চকর বাহন

ফিচার ডেস্ক 

ভ্রমণের রোমাঞ্চকর বাহন

তুষারধবল হিমালয় কিংবা মহাকাশ–ভ্রমণ যেখানেই হোক, রোমাঞ্চ থাকতে হবে। ভবিষ্যতে এতে যে প্রযুক্তির বিশাল অবদান থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাওয়ার মতো সব ভ্রমণপ্রযুক্তি আসছে পৃথিবীতে। 

এয়ার ট্যাক্সির পর ভ্রমণের ক্ষেত্রে যুক্ত হতে যাচ্ছে হেলিকপ্টার ট্যাক্সি। ব্রাজিলের সাও পাওলোর প্রতিষ্ঠান ভোম এয়ার হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করার চিন্তাভাবনা করে ফেলেছে। এর বুকিং সিস্টেম হবে উবার বা পাঠাওয়ের সিস্টেমের মতোই সাধারণ। ভবিষ্যতে ভ্রমণের জগতে আসতে চলেছে এমন আরও অবিশ্বাস্য কিছু পরিবর্তন। 

মহাকাশ ভ্রমণ
বলার অপেক্ষা রাখে না, মহাকাশ ভ্রমণ হবে ভবিষ্যতে পর্যটনের বড় ক্ষেত্র। এ নিয়েই কাজ করছে ভার্জিন গ্যালাক্টিকের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। ভার্জিনের লক্ষ্য মহাকাশ ভ্রমণকে প্রত্যেকের জন্য হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা। প্রায় ৬০০ জন মহাকাশচারীর প্রত্যেকে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ করে বসে আছেন এই আশায় যে তাঁরা একদিন স্পেস শিপ টুতে দুই ঘণ্টার ফ্লাইট পাবেন। আর সে তালিকায় আছেন ব্র্যাড পিট, অ্যাশটন কুচার, টম হ্যাঙ্কসের মতো সেলিব্রিটিরাও। ভার্জিন গ্যালাক্টিক বিশেষ নকশা করা স্যুট আর বিশেষভাবে তৈরি আসনে দুজন পাইলটের মাধ্যমে ছয়জন যাত্রীকে একবারে পাঠাবে মহাকাশে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এর পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছিল। এখন আরও পরীক্ষা চলছে। 

ছবি: সংগৃহীতমঙ্গলে উত্তেজনা
ইলন মাস্ক মানেই প্রযুক্তিজগতে একধরনের উত্তেজনা। টেসলা গাড়ির মালিক এবার মঙ্গল গ্রহে মানুষের জন্য দর্শনীয় স্থান নির্ধারণ করে ফেলেছেন। মাস্কের চূড়ান্ত লক্ষ্য ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ মানুষকে মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ স্থাপন করতে সক্ষম করে তোলা। যে মহাকাশযানে সেই সব মানুষকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মঙ্গলে, সেখানে থাকবে সিনেমা, থিয়েটার, বক্তৃতা হল এবং একটি ক্যাফে। টিকিটের দাম হবে ১ লাখ ৫৩ হাজার ইউরো। 

হাইপারলুপ 
হাইপারলুপ একটি প্রস্তাবিত অতি উচ্চ গতি, গ্রাউন্ড লেভেল, সৌরচালিত কার্গো এবং গণপরিবহনব্যবস্থা। আমেরিকান পরিবহন প্রযুক্তি কোম্পানি হাইপারলুপ ওয়ান সময় ও দূরত্বের বাধা দূর করতে তৈরি করছে এটি। এর নির্মাণ শেষ হলে আবুধাবি থেকে দুবাই পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ১২ মিনিট! সিস্টেমটি ইস্পাত টিউবের একটি নেটওয়ার্ক দিয়ে তৈরি হবে। সেখানে চৌম্বকীয় লেভিটেশন এবং প্রপালশন ব্যবহার করে প্রতি ঘণ্টায় ১ হাজার ২২০ কিলোমিটার গতিতে ভ্রমণ করা যাবে। আমেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রস্তাবিত রুটের মাধ্যমে হাইপারলুপ ওয়ান শত শত শহরের কোটি কোটি মানুষকে সংযুক্ত করতে পারবে। 

জেট প্যাক
শুধু শিশুরা নয়, সব বয়সের মানুষ উড়তে পারার স্বপ্ন দেখে। এমন ভাবনাকে বাস্তবতা দেওয়ার জন্য জেট প্যাক এভিয়েশন পরিকল্পনা করছে জেট প্যাকের। একটি জেট প্যাক পিঠে বেঁধে নিলে তা ৬০ এমপিএইচ গতিতে ১০ মিনিটের জন্য মানুষকে উড়তে পারার অনুভূতি দেবে। জেট প্যাক আকারে যথেষ্ট ছোট। উদ্ভাবক ডেভিড মায়ম্যান তাঁর জেট প্যাক ব্যবহার করে নিউইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টির চারপাশে এবং লন্ডনের টেমস নদীর ওপর দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন ইতিমধ্যে। দ্রুতই প্রায় ২ লাখ ইউরো দিয়ে একটি জেট প্যাক কিনতে সক্ষম হবেন আগ্রহীরা।  

হোভারবাইক
‘স্টার ট্রেক ওয়ে’ ভক্তরা জেনে রোমাঞ্চিত হবেন যে হোভারবাইক আর বেশি দিন কল্পবিজ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হোভারসার্ফ ইতিমধ্যে একটি উড়ন্ত বৈদ্যুতিক মোটরবাইক তৈরি করেছে স্করপিয়ন ৩ নামে। শূন্যে উঠে বাইক চালানোর রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে বাইকারদের হয়তো আর খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।

ঈদে ঘুরে আসুন গাজীপুর সাফারি পার্ক

জেদ্দার আল-বালাদ: ইতিহাসের শহরে একদিন

বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলছে উত্তর কোরিয়া

এশিয়ার জেন-জির ভ্রমণপ্রবণতা

রমজানে ভ্রমণে যে বিষয় মেনে চলা জরুরি

আশা বাঁচিয়ে রেখেছে অক্ষত রিসোর্টগুলো

ঈদে ঘুরে আসুন জাফলং

বিশ্বের প্রথম এআই-চালিত হোটেল ‘অটোনোমাস’

চীনে চিকিৎসা ভিসা এক দিনে

বিশ্বের সেরা ১০ সমুদ্রসৈকত