ফিচার ডেস্ক
মানুষ স্বাভাবিকভাবেই নতুন কিছু দেখতে ও আবিষ্কার করতে চায়। এই আগ্রহ থেকে জন্ম নেয় ভ্রমণের ইচ্ছা। ভ্রমণ মানুষকে এক নতুন জগতে নিয়ে যায়, যেখানে তারা নতুন জায়গা, সংস্কৃতি এবং মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়। নতুন দিগন্ত অন্বেষণকারী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় পর্যটন দিবস। এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটন এবং শান্তি’। এ প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ভ্রমণ শুধু আনন্দের জিনিসই নয়, এটি শান্তির সেতু হিসেবেও কাজ করে।
ভ্রমণ আমাদের সুযোগ করে দেয় বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের রীতি-নীতি জেনে নিজেদের সমৃদ্ধ করার। তাই বিশ্বের বিভিন্ন কোণে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে ভ্রমণের ভূমিকা অপরিসীম।
এই সূত্র ধরেই ভ্রমণ খাতে এসেছে অনেক পরিবর্তন। এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রযুক্তি। এর সাহায্যে ভ্রমণ পরিকল্পনার জটিলতাকে অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। মানুষও চেষ্টা করছে এই পরিবর্তনের সঙ্গে যেভাবে পারা যায় তাল মিলিয়ে চলতে।
তবে বর্তমান সময়ের ভ্রমণ প্রথাগত পর্যটনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মানুষ এখন পরিবেশ এবং পৃথিবীর প্রতি অনেক বেশি দায়িত্বশীল, যা তাদের ভ্রমণ আচরণকেও করেছে প্রভাবিত। এ জন্য বিশ্বজুড়ে টেকসই পর্যটনের ধারণা দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করছে। আমরা যারা ভ্রমণে আনন্দ খুঁজে পাই তারা চাইলেই একটু সচেতনতার মাধ্যমে ভ্রমণকে করে তুলতে পারি আরও সার্থক আর শান্তিপূর্ণ। কক্সবাজারের সোনালি সূর্যাস্ত হোক বা সুন্দরবনের রোমাঞ্চকর পরিবেশ, নেপালের হিমালয় অঞ্চল বা ভিয়েতনামের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম এবং ল্যান্ডস্কেপ ঘুরে বেড়ানো এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিশ্বজুড়ে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে নতুন সংস্কৃতি এবং অনবদ্য সব অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে ছুটে যান এখনই আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে, খুব সহজে।