বাসস, ঢাকা
বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির ঢাকার অনুষ্ঠান বন্ধ করার এখতিয়ার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার সচিবালয়ে এ অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। নোরা ফাতেহির অনুষ্ঠানের অনুমতি তথ্য মন্ত্রণালয় দিয়েছে বলেও এ সময় জানান তিনি।
এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী এবং আগামী কাতার বিশ্বকাপে ‘‘থিম সং’’ এ পারফর্ম করবেন। এর আগে বিশ্বকাপের আসরগুলোতে যেমন শাকিরাসহ বিশ্ববরেণ্য তারকারা করেছেন। নোরা ফাতেহিকে একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডকুমেন্টারি করতে চায়। সেটির জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছি।’
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় নোরা ফাতেহির স্টেজ শো হওয়ার কথা আগামী শুক্রবার। টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার ভ্যাট বিভাগের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অনুষ্ঠানের অনুমতি নেওয়া হয়নি। ভ্যাট কার্যালয়ে ঘোষণা দেওয়া, ব্যাংক গ্যারান্টি জমা ও অনুমতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু আয়োজক প্রতিষ্ঠান উইমেন লিডারশিপ করপোরেশন এই অনুমোদন নেয়নি।
এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ট্যাক্স আদায় বা ভ্যাট আদায় এগুলোর জন্য এনবিআর অবশ্যই তাঁদের নোটিশ দিতে পারে। কিন্তু এনবিআর অনুষ্ঠান বন্ধ করার এখতিয়ার রাখে না। এনবিআর অবশ্যই ট্যাক্স-ভ্যাট আদায় করার এখতিয়ার রাখে। কিন্তু সরকার, অর্থাৎ মন্ত্রণালয় যেখানে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছে, সেখানে অনুষ্ঠান বন্ধ করার এখতিয়ার এনবিআর রাখে না।’
এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের পর্যটন’ (ট্যুরিজম অব বাংলাদেশ) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া এবং পরিচালক মোহাম্মদ আলী মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিভিন্ন সমাবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমাবেশ করে কোনো রাজনৈতিক দলেরই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা উচিত নয়। সে জন্য আমাদের নেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী সব সময় জনগণের যাতে দুর্ভোগ না হয়, সে জন্য বন্ধের দিনে এবং খোলা মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেন। রাস্তা বন্ধ করে বিশেষ করে প্রধান সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করা নিয়ে সাংবাদিকেরা সোচ্চার, সাধারণ মানুষও এটি চায় না।’
ড. হাছান বলেন, ‘আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম যে নয়াপল্টনের প্রধান সড়কের ওপর বিএনপি সমাবেশ করতে চায়। সেটি ঢাকা শহরের প্রধান সড়ক। এর ওপর সমাবেশ করলে তো জনগণের ভোগান্তি হবেই। ঢাকা শহরে তো অনেক মাঠ আছে। সোহরাওয়ার্দী ময়দান, পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠ, আরও নানা মাঠ আছে। মাঠ বাদ দিয়ে তারা কেন ঢাকা শহরের প্রধান সড়কে সমাবেশ করতে চায়, সেটি আমার বোধগম্য নয়। এতে ভাঙচুর করতে সুবিধা হয়। রাস্তায় দোকানপাট থাকে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে সুবিধা হয়। সেই উদ্দেশ্যে করেছে কি না আমি জানি না।’