হোম > জাতীয়

আবরার ফাহাদ হত্যা: ৫ বছর রিটের শুনানিতে রাজি হননি বিচারকেরা, অবশেষে রুল জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন এক আইনজীবী। কিন্তু তৎকালীন অন্তত তিনটি বেঞ্চে চেষ্টা করেও শুনানি করাতে পারেননি রিটকারী। বারবারই বিচারকেরা বিব্রত হয়েছেন। অবশেষে সেই রিটের শুনানি হলো।

শুনানির পর আবরার ফাহাদের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 

শাহীন আলম নামে এক আইনজীবীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। 

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব মোর্শেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজীব ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। 

আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজীব বলেন, বুয়েটসহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ পরিবেশের নিশ্চয়তা দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং আবরারের পরিবারকে কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারি করেছেন। আর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন যে, আবরারের ঘটনার সময় কার কার ব্যর্থতা ছিল সেগুলো দেখার জন্য। 

মাহবুব মোর্শেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আবরার নিহতের পর ২০১৯ সালের ৮ অক্টোবর জনস্বার্থে রিটটি করা হয়েছিল। আবেদনে ছাত্রলীগের নির্যাতনের কথা ছিল। ওইসময় তিনটি বেঞ্চে শুনানির চেষ্টা করেছিলাম। সবগুলো বেঞ্চ বিব্রত বোধ করেছেন। কেউ শুনতে রাজি হননি। যার কারণে এত দিন শুনানি করা সম্ভব হয়নি। 

তিনি বলেন, তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা চেয়েছিলাম হাইকোর্টে কর্মরত কোনো বিচারপতির নেতৃত্বে কমিশন গঠন করে দিতে। আদালত মন্ত্রী পরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশন গঠন করতে। সেখানে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি থাকতে পারেন। মন্ত্রী পরিষদ সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, বুয়েটের উপাচার্য, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্র লীগের নেতা–কর্মীরা। ওই ঘটনায় পরদিন ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

নবীন উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পাকিস্তান সফর, প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরানো হলো পরিচালক মনিরুজ্জামানকে

গত বছর ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৬১ শতাংশই নারী: জরিপ

পাঁচ মাসে মাজার-দরগায় ৪৪ হামলা: প্রেস উইং

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না হুমায়ুনের

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মতামত দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৬ দিন সময়

সস্তায় বিক্রি হচ্ছে শৈশব

সেকশন