নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে সরকার কিছুটা হলেও চিন্তিত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। করোনা আক্রান্ত রোগীরা এখন যে হারে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, এটা অব্যাহত থাকলে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে হাসপাতালে কোনো জায়গা ফাঁকা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, এখন থেকে ৫০ বছর বয়সীদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ওমিক্রন ও ডেলটা ধরনে আক্রান্ত হয়ে শনাক্তের সংখ্যা দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আমরা কিছুটা হলেও চিন্তিত, আতঙ্কিত। গত ১৫-২০ দিনে সংক্রমণের হার ১৮ শতাংশে উঠে গেছে। এভাবে বাড়তে থাকলে ৩০ শতাংশে উঠতে সময় লাগবে না। হাসপাতালে প্রতিদিন ২০০ জন করে ভর্তি হচ্ছে। এভাবে ভর্তি হলে এক-দেড় মাসে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না। চিকিৎসা দেওয়া দুরূহ হয়ে যাবে। এ জন্য সবাই যাতে ভালোমতো স্বাস্থ্যবিধি মানে আমি সেই আহ্বান জানাচ্ছি।’
এখন থেকে ৫০ বছর বয়স বয়সীদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এর ফলে ৭০ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দিতে হবে। এখনো ৯ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা আমাদের হাতে আছে।
টিকা নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘তাঁদের সঙ্গে টিকার চুক্তি করেছিলাম, চুক্তি এখনো আছে কিন্তু টিকা পাইনি। আমরা বলেছি, চুক্তি অনুযায়ী টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তাঁদের টিকা দুটি করে ডোজ লাগে। আমরা বলেছি দুটি ডোজই একসঙ্গে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। স্পুতনিক লাইট নামে আরেকটি টিকার কথা তাঁরা বলেছেন, আমরা সে বিষয়ে কাগজপত্র চেয়েছি।’