মিয়ানমারের ভেতরে ভয়াবহ গোলাগুলির কারণে সেখানকার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ১৪ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন। তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিপি সদস্যদের শিগগির পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরা নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢুকেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। যাতে তারা এঁদের নিয়ে যায়।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না, যুদ্ধ চাইও না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের সব সময় সেই নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তবে আমরা সব সময় তৈরি আছি।’
সীমান্ত এলাকায় শক্তি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করেছি। আমরা পুলিশকে বলে দিয়েছি, কোস্ট গার্ডকেও নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে কোনোভাবেই কেউ আমাদের সীমানায় অনুপ্রবেশ করতে না পারে। সেই ব্যাপারে আমরা খুব সতর্ক রয়েছি। যুদ্ধ কত দিন চলে আমরা জানি না। কিন্তু সীমান্ত পার হয়ে কাউকে আসতে দেব না। বিজিবিকে আমরা সেই নির্দেশনাটাই দিয়েছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিজিপির একের পর এক ঘাঁটি দখল করে নিচ্ছে আরাকান আর্মি। আমাদের বর্ডারের কাছে যেগুলো ছিল, তা দখল করে নিয়েছে। বিজিপি আত্মরক্ষার্থে ভেতরে ঢুকে সহযোগিতা চেয়েছে। তাঁদের ১৪ জনকে অবরুদ্ধ করে, তাঁদের অস্ত্র নিয়ে এক জায়গায় আটক করে রেখেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।’
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এ দ্বন্দ্ব পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো প্রতিবন্ধকতা হতে পারে কি না—এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ পরিস্থিতির পরও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সরকারের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টার শেল এসে পড়ার ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে মর্টার শেলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।