Ajker Patrika
হোম > জাতীয়

কারাগারের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ছিদ্র

শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কারাগারের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ছিদ্র

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালানোর পর আবারও দেশের কারাগারগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারাগারের ভেতরে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পাশাপাশি আসামি পালানোর ঘটনাও ঘটছে। তবে এবার কনডেম সেলের ভবনের ছাদ ফুটো করে চার বন্দীর পালানোর পর কারাগারের নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতাই স্পষ্ট হয়েছে। অথচ কারাগার হলো সংশোধনাগারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারাগার থেকে আসামি পালানো নতুন কিছু নয়। আগেও এমন ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। কিন্তু কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র হয়নি। নিরাপত্তাঝুঁকির বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও কাজে আসছে না।

তবে কারা কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ বলছেন, ব্রিটিশ আমলের দুর্বল ও সংস্কারহীন ভবনের কারণেই এমন সুযোগ পাচ্ছেন আসামিরা। বগুড়ার ঘটনার পরপরই সারা দেশের পুরোনো ভবন থাকা কারাগারগুলোতে সতর্কবার্তা দিয়েছে কারা অধিদপ্তর।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান বলেন, বগুড়ার কারাগারটি অনেক পুরোনো। এর পুরোনো ছাদ ছিদ্র করে চার আসামি বেরিয়ে যান। সংস্কারবিহীন ও দুর্বল ভবন থাকা কারাগারগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।

দেশে ৬৮টি কারাগারের মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার। এগুলোর মধ্যে ঢাকা বিভাগের অধীনে ১৭টি কারাগার রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, সম্প্রতি সারা দেশের জেলা প্রশাসকেরা কারাগারের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। তাঁদের উত্থাপিত বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানে সংস্কারহীন দুর্বল কারাগার ভবন ও এগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। কুমিল্লা, ভোলা, খুলনা, রাজশাহী, খাগড়াছড়ি, গাইবান্ধা, বগুড়া, বরিশালসহ মোট ১৫টি কারাগারের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়।

কারাগারের নিরাপত্তা নিয়ে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দুই বছর আগে আট দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে কারাগারের ভেতরে নিরাপত্তা, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা, বাইরে থেকে যাতে কারাগারে মাদকদ্রব্য ঢুকতে না পারে সে বিষয়েও কঠোরতা অবলম্বন।

সংস্কারহীন কারা ভবনগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে ১০ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় ভোলা জেলা কারাগার। ওই সময় বন্দীদের জন্য একতলা-দোতলা দুটি ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এরপর সেখানে আর কোনো স্থাপনা হয়নি, শুধু মেরামত করা হয়েছে।

ভৈরব নদের তীরে ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত খুলনা জেলা কারাগারের ভবনকে ২০০৪ সালে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে খুলনা সিটি করপোরেশন। এরপরও ২৩ বছর ধরে সেই ভবনগুলোতে থাকছেন বন্দীরা, কারাগারের প্রশাসনিক কার্যক্রমও চলছে। রাজশাহী কারাগারের অবস্থা আরও করুণ।

২০২১ সালে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়েছিলেন হত্যা মামলার আসামি ফরহাদ হোসেন রুবেল। এক দিন পর অবশ্য নরসিংদীর একটি চর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে, কারাগারের ভেতর নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে লাফ দিয়ে কারাগারের বাইরে চলে এসেছিলেন তিনি।

চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক টিপু সুলতান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগে বর্তমানে কুমিল্লা কারাগার ছাড়া বাকিগুলো বেশ নিরাপদ। কুমিল্লা কারাগারেও সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। পুরোনো কারাগার যেখানে আছে, সেখানকার কারারক্ষীরা অধিক সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।

সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন

উন্নয়ন ব্যয় কমল ৪৯ হাজার কোটি টাকা

নিয়োগের পথ খুলল প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের

সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা কেন অসাংবিধানিক নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে শান্তিরক্ষা মিশন এলাকা পরিদর্শনে গেলেন সেনাপ্রধান

একটি পলাতক দল দেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছাপা বাকি ৩ কোটি পাঠ্যবই

সব বই নেই, ছুটির পড়া পড়বে কিসে