হোম > জাতীয়

এত দিনেও দল–প্রার্থীর ব্যয় বিবরণী প্রকাশ না করে আইন অমান্য করেছে ইসি: টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পাঁচ মাস পার হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও দলগুলোর নির্বাচনী ব্যয়ের বিবরণী প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ–সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা থাকার পরও তা না করে নির্বাচন কমিশন আইন অমান্য করেছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি এমনটা জানায় টিআইবি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংস্থাটি মনে করে, এই গোপনীয়তার মাধ্যমে ইসি নির্বাচনী আইন অমান্য করেছে। অন্যদিকে, যেসব প্রার্থী ও দল যথাসময়ে তথ্য জমা দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা কমিশন গ্রহণ করেছে—এমন তথ্য নেই।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বিবরণীর সত্যায়িত নথি ইসিতে দাখিল করা বাধ্যতামূলক। দাখিলে ব্যর্থ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবরণী জমা দিতে হয়। দাখিলে ব্যর্থ দলগুলোর বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানাসহ নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া, প্রার্থী ও দলের ব্যয় বিবরণীর নথি জনগণের কাছে উন্মুক্ত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কমিশনের।

টিআইবি জানায়, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, সে হিসেবে প্রার্থীদের ব্যয় বিবরণী জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ৭ এপ্রিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দল ব্যয় বিবরণীর সত্যায়িত নথি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসে জমা দেয়নি। ইসিও তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ প্রার্থী ও দলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

নির্বাচনী ব্যয়–সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ ও প্রকাশে ইসির নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী ব্যয়–সংক্রান্ত আইনি বাধ্যবাধকতাকে প্রার্থী–দল এমনকি নির্বাচন কমিশনও রীতিমতো উপেক্ষা করেছে। নির্বাচনী আইন মেনে চলতে ব্যর্থ প্রার্থী ও দলগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ফলে একদিকে যেমন কমিশনের নির্বাচনী আইনকে উপেক্ষা করার দৃষ্টান্ত যেমন হতাশাজনক, অন্যদিকে এই নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে কমিশন বাস্তবে প্রার্থী ও দলগুলোকে আইন লঙ্ঘনে আরও বেশি উৎসাহিত করেছে।

উল্লেখ্য, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে প্রার্থী কর্তৃক জমাকৃত ব্যয়ের বিবরণী এবং দলিল নির্ধারিত ফি দিয়ে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা এবং যেকোনো ব্যক্তিকে সরবরাহ করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু টিআইবি পরিচালিত গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় এই নির্দেশনা মান্য করেনি। নির্ধারিত ফি গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দিষ্ট নেই এবং কোথায় টাকা জমা দিতে হবে সেই নির্দেশনা স্পষ্ট করা হয়নি—অজুহাতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ব্যয় বিবরণীর নথি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। টিআইবির পক্ষ থেকে তথ্য চেয়ে কমিশনে অবেদন করলেও কমিশন তথ্য দেয়নি। এ ছাড়া, ব্যয় বিবরণীর নথি ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়নি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ দ্বারা নির্ধারিত আইনগত বাধ্যবাধকতার এমন লঙ্ঘন, যা নাগরিকদের প্রয়োজনীয় তথ্য থেকে বঞ্চিত করছে, জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি নিশ্চিতের পথ বন্ধ করছে, যা গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিতে প্রতিবন্ধকতা গভীরতর ও ব্যাপকতর করছে। কমিশন নির্বাচনের ব্যয়–সংক্রান্ত তথ্য দিতে গোপনীয়তা রক্ষা করছে এবং উত্তম চর্চার উল্টো পথে চলছে।’

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তি চায় অ্যামনেস্টি

জিয়াউলের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তিকে গুম-খুনের অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

৮ ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে অর্ধশতকোটি টাকা লুট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি

সৌদি আরবে বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক, সতর্ক করল দূতাবাস

নিজের বিচার সরাসরি সম্প্রচার চান হাসানুল হক ইনু

২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে অমর একুশে বইমেলা

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা