অনলাইন ডেস্ক
সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ঘিরে টহল দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স। ইইউ ন্যাভফোর নামে পরিচিত এই বাহিনীর হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলের জন্য পরিচালিত অপারেশন আটলান্টায় অংশ নেওয়া যুদ্ধজাহাজ থেকে এই টহল দেওয়া হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইইউ ন্যাভফোর আটলান্টা নামের একটি ভেরিফায়েড পেজ থেকে শেয়ার করা এক টুইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই টুইটে শেয়ার করা একটি ভিডিও ও একটি ছবি থেকে এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে ইইউ ন্যাভফোরের টহল দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, অপারেশন আটলান্টার জাহাজ থেকে বেশ কয়েক মাইল দূরে একটি জাহাজ দেখা যাচ্ছে, যার আশপাশে একটি হেলিকপ্টার উড়ছে। একই টুইটে একটি ছবিও শেয়ার করেছে তাঁরা। সেখান থেকে দেখা যায়, এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত এসআর শিপিংয়ের লোগো ‘এসআর’ দেখা যাচ্ছে, যার একটু দূরে ওপরে একটি হেলিকপ্টার উড়ছে।
টুইটে আরও জানানো হয়েছে, অপারেশন আটলান্টার যুদ্ধজাহাজগুলো সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কেএসআরএম (কবির) গ্রুপের কয়লাবোঝাই জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে। এরপর থেকে নাবিকদের আত্মীয়স্বজন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন। ১৪ মার্চ জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পৌঁছানোর পর ২৩ নাবিককে নিজ নিজ কেবিনে থাকার সুযোগ দেয় সোমালি জলদস্যুরা।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর একই গ্রুপের আরেকটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেই জাহাজের নাম ‘এমভি জাহান মণি’। বড় অঙ্কের মুক্তিপণের বিনিময়ে ১০০ দিনের মাথায় মুক্তি পান ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন: