করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছ থেকে বিনা মূল্যে সবচেয়ে বেশি টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় আজকের এ সফলতা এমনে এমনে হয়নি। যে দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, সেসব দেশের সরকার প্রধান ক্ষমতা হারিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে ইতালি এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকেও ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। আমাদের ওই সময় অনেক সমালোচনা হয়েছে। এমনকি আমাদের নিজেদের লোকেরাও ছাড়েনি। কিন্তু আমরা সফল হয়েছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ডব্লিউএইচও থেকে ১১ কোটি ফাইজার ও মডার্নার টিকা পেয়েছে। যা যেকোনো দেশের চেয়ে সর্বোচ্চ।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে খাদ্যের সংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে নেই। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলছে, শিক্ষার হার বেড়েছে। এটা এমনে এমনে হয়নি, অর্জন করতে হয়েছে। এটাকে ধরে রাখতে হলে আমাদের কাজ করতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে, অস্বীকার করার সুযোগ নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় ওষুধের তীব্র সংকট ছিল, এখন নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে। অনেক মানুষ বিদেশে চিকিৎসা দিতে যায় বলে বলা হয়, কিন্তু সেই সংখ্যা একবারে কম। মোট জনগোষ্ঠীর বড় অংশই দেশে চিকিৎসা নিচ্ছে। আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে হবে।’
প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই এক হাজার শয্যা চালুর পরিকল্পনা আছে বলেও জানান মন্ত্রী।