মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, ‘শিশুদের বিকাশে কাজ করতে হবে। শিশুরা হয়রানি ও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুদের মোবাইল আসক্তি দূর করতে যুগোপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।’ আজ রোববার সকালে প্রথম কার্যদিবসে সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘সবার প্রত্যাশা খুব বেশি। একা পরিবর্তন করা যায় না। এ জন্য টিমওয়ার্ক সবচেয়ে জরুরি। সবার সহযোগিতায় নিশ্চয়ই ভালো কিছু করতে পারব।’
প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, ‘সভ্যতার দুটি হাত—একটি পুরুষ; অন্যটি নারী। কাউকে পেছনে ফেলে কোনোটাই অগ্রসর হওয়া যায় না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যে কাজগুলো আছে, সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাব। আমি নারী ও শিশু নিয়ে অনেক আগে থেকেই কাজ করি। সে জন্য আমার খুবই ভালো লাগার জায়গা এটি। কর্মপরিকল্পনা তো একটা থাকবে। কিন্তু সেটি ১০০ দিন বা সে রকম কিছু না। কারণ, এটি চলমান একটি কাজ। সেভাবেই আমরা কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাব।’
মতবিনিময় সভায় জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব রওশন আরা বেগম, অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এনডিসি, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটনসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরপ্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভার আগে নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী রিমিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক এবং দপ্তর-সংস্থার প্রধানেরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।