বিদেশি কূটনীতিকদের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেছেন, সতর্ক করার পরও বারবার তাঁরা এমনটি করলে তা সীমালঙ্ঘন হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। এর জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির নির্বাচন কমিশন ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের নির্বাচনী ভাবনা জানতে চেয়েছেন—সাংবাদিকদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে শাহরিয়ার আলম বলে, ‘ছয় মাস আগে ঢাকার মিশনগুলোর উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি কোনো রাষ্ট্রদূত আবারও একই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হন, সরকার তা কূটনীতিকদের জন্য নির্ধারিত সীমালঙ্ঘন বলে মনে করবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশে নির্বাচন ও মানবাধিকার ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হস্তক্ষেপ চেয়ে দেশটির রিপাবলিকান পার্টির ছয় কংগ্রেসম্যান চিঠি দিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ওই ছয় কংগ্রেসম্যানকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানাতে সরকারের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হবে।’
অতীতেও এমন চিঠি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে পরিবেশিত তথ্যে অতিরঞ্জন, অসংগতি ও ফাঁক আছে।’
নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এমন চিঠি আরও পাওয়া যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসম্যান স্কট পেরি, ব্যারি মুর, ওয়ারেন ডেভিডসন, বব গুড, টিম বার্চেট ও কিথ সেলফ গত ২৫ মে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের বিষয়ে চিঠি দেন।