কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
অভিন্ন নদী তিস্তার যৌথ ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক দিকগুলো নিয়ে কথা বলতে বাংলাদেশে একটি কারিগরি দল পাঠাতে চায় ভারত। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দিল্লিতে আলাপ করেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তিস্তার বিষয়ে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্করের সঙ্গে।
বাংলাদেশে ভারত থেকে নিত্যপণ্য রপ্তানি অব্যাহত রাখার সুবিধা বজায় রাখার বিষয় নিয়েও জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন হাছান মাহমুদ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলাপের বিষয়টি জানায়।
সাত দেশের জোট বিমসটেকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে যোগ দিতে হাছান মাহমুদ বেইজিং থেকে উড়ে যান দিল্লি। বেইজিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী ছিলেন তিনি। গত ২১ ও ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় তিস্তার জন্য কারিগরি দল পাঠানোর প্রস্তাব দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিমসটেক রিট্রিট শীর্ষক এই বৈঠকে সদস্যরাষ্ট্রগুলো সংস্থার কর্মপ্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করে।
আলোচনায় হাছান মাহমুদ আঞ্চলিক এই জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংযোগ এবং নীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর অনুরোধ জানান। থান সুই এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন।
বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন বা বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতের, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ) আঞ্চলিক জোটটির সদস্য বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। সংস্থার সদর দপ্তর ঢাকার গুলশানে।
বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরও অনেকগুলো ক্ষেত্র বিমসটেকের আওতাভুক্ত।