রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে যেখানে রাখা হয়েছে, সেই ভাসানচরের উন্নয়নে সহযোগিতা দেবে সৌদি আরব। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আল দুহাইলান এ কথা জানান।
সাক্ষাতের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে শান্তির সঙ্গে থাকতে পারে, এটা তাঁরা চান। তাঁরা প্রথম দিন থেকেই বলছেন, রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে হবে। এ জন্য তাঁরা কাজ করছেন। ওআইসিতে তাঁদের স্ট্রং সাপোর্ট রাখছেন এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁরা কথা বলছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করায় সরকারের প্রশংসা করেন সৌদির রাষ্ট্রদূত। ভাসানচরকে আরও ডেভেলপ করার জন্য তারা সহযোগিতা করবে। তাঁর (রাষ্ট্রদূত) সঙ্গে আমাদের ভাসানচর যাওয়ার কথা ছিল, সেটাও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন।’
আলোচনার মাধ্যমেই মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ কোনো দিনই শান্তি বয়ে আনে না। দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে, এটাই আমাদের অভিমত। এটাই আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’
জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনশক্তির ব্যাপারে তিনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ত্বরান্বিত করতে বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দূতাবাসের সামনে অনেক ভিড় হওয়ায় তাঁরা কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন। সেখানে যাতে কোনো ভুল-বোঝাবুঝি না হয়। পুলিশ বাহিনী সেখানে সতর্ক থাকবে বলে তাঁকে জানানো হয়েছে। ফোকাল পয়েন্ট তৈরির জন্য তাঁরা বলেছেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যিনি কাজ করছেন সেখানে এবং এখানে অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে থাকবেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ। এদের একজনকে তাঁরা ফোকাল পয়েন্ট করার কথা বলেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘৫০ হাজার বাংলাদেশিকে আমরা এখনো পাসপোর্ট দিতে পারিনি। তাঁরা সেগুলো তাড়াতাড়ি দেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, আমরা এদের ফেরত পাঠাব না, যাতে তাঁরা অবৈধ না হয়, সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন। আমরা সেগুলোর ব্যবস্থা করছি।’