কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পাওনা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ এবং তাঁদের হয়রানিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে জাতীয় মহিলা সংস্থায় অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডে দুদকের সহকারী পরিচালক শাহ আলমে শেখের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
দুদকের ওই অভিযানে ছিলেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ ও উপসহকারী পরিচালক আফিয়া খাতুন।
অভিযানের বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহিলা সংস্থার ঢাকা অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মঞ্জুরি করা সিলেকশন গ্রেড ও উচ্চতর গ্রেডের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান না করে হয়রানির অভিযোগে গতকাল এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
আকতারুল বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে যুক্ত মোট ১৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আদালতে করা রিটের আদেশ অনুযায়ী রাজস্ব খাতভুক্ত হন। অভিযোগকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি করা ও প্রাপ্য সিলেকশন গ্রেডের ভাতা প্রদান না করে তাঁদের আবেদনগুলো অধিকতর যাচাইয়ের নামে হয়রানি করাসহ অনিয়ম, হয়রানি বা অনৈতিক লেনদেনের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। অভিযানের সার্বিক রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দুদকের শিগগিরই কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছের আকতারুল।
এদিকে অভিযানের সময় জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহানা সারমিন দুদক টিমের কাছে প্রকল্প হয়রানির বিষয় অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এখানে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে আসার কারণে কিছু জটিলতা হয়েছে। আশা করছি তাঁদের বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।’