চীন ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে করোনার নতুন উপধরন বিএফ-৭। বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌপথে হেলথ স্ক্রিনিং বসানো হয়েছে। যেখানে চারজন চীনা নাগরিকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত এসব ব্যক্তি নতুন উপধরনের শিকার কিনা তা দেখতে নমুনা সংগ্রহ করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। একই সঙ্গে তাদের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার রাত পৌনে ৮টায় আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাহমিনা শিরিন বলেন, বিকেলে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা চার চীনা নাগরিকের শরীরের করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তারা নতুন উপধরনের আক্রান্ত কিনা সেটি দেখতে নমুনা সংগ্রহ করেছি। একই সঙ্গে তাদের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করে। এ সময় ২০ জন চীনা নাগরিকের কান অতিরিক্ত লালচে দেখে সন্দেহ করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। পরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করলে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এর আগে রোববার জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চীনে সম্প্রতি অমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ-৭ শনাক্ত হয়েছে। যা আগের উপধরন বিএফ-৫ এর তুলনায় চার গুণ বেশি সংক্রামক। যাতে চীনেই ২৫ কোটির মত মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ভারতেও এটির বিস্তার ঘটছে।
এমতাবস্থায় দেশের প্রতিটি প্রবেশপথে সতর্কতা জারি করেছে সরকার। চালু হয়েছে বিদেশি নাগরিকদের হেলথ স্ক্রিনিং।
এদিকে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একদিন পরই আগামীকাল সকাল ৯টায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোরদারসহ বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।