নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে আরিফ সোহেলকে তাঁর ভাড়া বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। আরিফের ছোট বোন উম্মে খায়ের ঈদি গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
আরিফ সোহেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৭–১৮ শিক্ষাবর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
নুসরাত তাবাসসুম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শামসুন নাহার হলেরও সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আরেক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘নুসরাত আপু মিরপুরের রূপনগরে এক আত্মীয়র বাসায় ছিলেন। আজ ভোরে তুলে নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে দুই দিনে পাঁচ সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে গতকাল শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। নিরাপত্তার কারণে হেফাজতে নেওয়া হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
তাঁরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ নিয়ে মোট সাতজন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়ার খবর পাওয়া গেল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসুম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে ডিবি তুলে আনার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এর আগে সমন্বয়কদের যে কারণে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদেরও সেই একই কারণে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।