নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, করোনাকালে কোরবানির জন্য গঠিত ডিজিটাল হাট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই হাটে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য কৃষকদের সব রকম সহযোগিতা দিচ্ছে তাঁর মন্ত্রণালয়। এ জন্য দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে কৃষকদের সহযোগিতায় পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ বছর কোরবানির মোট পশুর ২৫ শতাংশ ডিজিটাল হাটে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। এই হাটে পশু বিক্রি করলে কোনো ধরনের হাসিল কেউ চাইতে পারবে না। কেউ জোর করে নিলে তা চাঁদাবাজি হিসেবে গণ্য করা হবে। ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কৃষকদের কোনো প্রকার হয়রানি করা হলে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে তাৎক্ষণিক আইনি সেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার ডিজিটাল হাটে কোরবানির পশু বিক্রি ও ব্যবস্থাপনাবিষয়ক অনলাইন সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সেমিনারে মন্ত্রণালয়ের সারা দেশের জেলা ও থানা কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা অংশ নেন।
মন্ত্রী সবার উদ্দেশ্যে বলেন, কোনো কৃষক যেন ছিনতাইয়ের শিকার না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কোরবানির আগে জাল টাকার নোট আসে বাজারে। এ থেকে কৃষকদের বাঁচাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত অবস্থানে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী। কোরবানির হাটে কোনো গরু অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কর্মকর্তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, এ বছর কোরবানির জন্য ১ কোটি ১৯ লাখ পশু সারা দেশে প্রস্তুত আছে। তিনি আশা করছেন, এই সংখ্যক পশু কোরবানির জন্য যথেষ্ট। এ জন্য পাশের কোনো দেশ থেকে যেন বাংলাদেশে কোরবানির পশু ঢুকতে না পারে, সে জন্য সীমান্তবর্তী এলাকার প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। বাইরের পশু বাংলাদেশের বাজারে ঢুকলে চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়বেন; যা আগামী দিনে আমাদের পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
মন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত ১২ লাখ গরুর ছবি ডিজিটাল হাটে আপলোড করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ডিজিটাল হাটে ১ লাখ ৮৪ হাজার গরু বিক্রি হয়েছে; যার মূল্য ১ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা।